মেডিকেল চিকিৎসাঃ

    ক.

  1. অপেক্ষা করা:
  2. এই পদ্ধতি ফোকাল শ্বেতী রোগীদের জন্য প্রযোজ্য।
    খ.

  3. ইউভিএ+সোরালেন।
  4. ইউভিএ+খেলিন।
  5. ইউভিএ+ফিনাইল এলামিন
  6. ইউভিএ+ক্যালসিট্রিওল।
  7. এই পদ্ধতি অত্যন্ত সময়কেক্ষপনকারী ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
    গ.

  8. ইউভিবি (ন্যারো ব্যান্ড)।
  9. ইউভিপি+টপিক্যাল।
  10. ইউভিপি+লবণ পানি
  11. সিউডোক্যাটালেজ+ক্যালসিয়াম।
  12. আমাদের দেশে এখনো এই সুবিধাসমুহ অনুপস্থিত।
    ঘ.

  13. স্টেরয়েড।
  14. হিউম্যান প্লাসেন্টাল এক্সট্রাক্ট।
  15. সোরালের প্রলেপ।
  16. এককভাবে বা বিভিন্ন পদ্ধতির সমন্বয়ের অংশ হিসেবে এই চিকিৎসাগুলো প্রদান করা হচ্ছে আমাদের দেশে।

  17. লেভামিসল।
  18. এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফল এখনো সুনিশ্চিত নয়।
    ঙ.

  19. ক্যামোফ্লেজ।
  20. ব্লিচিং।
  21. আমাদের দেশে এই চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো ভালোভাবে প্রচলিত হয়নি এবং রোগীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়।

শৈল্য চিকিৎসাঃ
ক.

  1. অটোলোগাস মিনি/মাইক্রো গ্রাফট।
  2. অটোলোগাস ইপিডার্মাল গ্রাফট।
  3. অটোলাগাস কালচারড গ্রাফট।

আমাদের দেশে এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন এবং সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ফোকাল ও সেগমেন্টাল শ্বেতী রোগীদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং এক্রোফেসিয়াল শ্বেতী রোগীদের জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
খ.

  1. উল্কি আঁকা
  2. ডার্মাব্রাসন ফ্লুরোইউরেসিল।

এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেশে এখনো প্রচলিত হয়নি।
গ. ১. এক্সিমার লেসার।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের দেশে এখনো আসেনি।
ভুক্তভোগীদের জন্য ‍গুরুত্বপূর্ণ:

  1. এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। এ রোগের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। সমাজের যেকোনো স্তরের বা শ্রেণীর মানুষের যেকোনো বয়সে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
  2. এটি কোনো বিপজ্জনক, জন্মগত বা বংশগত ও ছোঁয়াছে রোগ নয়। শ্বেতী রোগীকে আলাদা করে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
  3. শ্বেতী একটি নিরাময়যোগ্য রোগ। সস্তা, নিরাময় ও কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনো আমাদের দেশেই রয়েছে। যেকোন রোগী অতি সহজেই এই চিকিৎসা নিতে পারেন।
  4. এ রোগের দীর্ঘমেয়াদী নিয়মিত ও অব্যহত চিকিৎসা জরুরী এবং এটাই এ রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ।
  5. চিকিৎসা চলাকালে কখনো কখনো সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিদতে পারে। তখন বিলম্ব না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  6. এ রোগের একমাত্র জানা ও স্থায়ী শত্রু হচ্ছে রোদ। দীর্ঘক্ষন রোদে থাকলে রোগপ্রবন লোকের শরীরে শ্বেতী রোগের প্রথম প্রকাশ ঘটে। এছাড়া এ রোদে চিকিৎসা ব্যহত হয়। কাজেই শ্বেতী রোগীদের রোদ এড়িয়ে চলাই উত্তম।
  7. শ্বেতী রোগীদের খাওয়ার কোনো বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজন নেই। ভিটামিন-সি বা ভিটামিস-সি সমৃদ্ধ খাবার ও ফলমুল খেতেও কোনো বাধা নেই।
  8. বর্তমানে শ্বেতী রোগের বিভিন্ন ধরণের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা আমাদের দেশে রয়েছে। শ্বেতী রোগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।