রেসপিরেটারী সিনশিশিয়াল ভাইরাস এর সংক্ষিপ্ত নাম আরএসভি। যার মাধ্যমে সাধারণত শিশুদের ফুসফুস ফুলে উঠে।
হঠাৎই বিশ্বে এই আরএসভি ভাইরাসের সংক্রমন বাড়তে শুরু করেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে তা ক্রমেই ভয়ারহ আকার ধারণ করছে। বেশিরভাগ হাসপাতালেই ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছে। স্থান সংকুলান করতে না পারায়, বাহিরে তাবু দিয়ে চিকিৎসা চলছে। মুলত ফুসফুসকে আক্রমন করে ভাইরাসটি। দেখা দেয় কাশি ও শ্বাস প্রশ্বাসজনিত সমস্যা। ছড়ায়ও কাশির মাধ্যমে। সাধারণভাবে মৃদু লক্ষন থাকলেও শিশু ও বয়স্কদের জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক।
চিকিৎসকরা বলছেন, “গত 2-3 বছর ধরে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্থ করেছে কোভিড মহামারি। স্বাভাবিকভাবে এ বছর বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে আরএসভি সংক্রমিত শিশুরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভিডেন্স মিশন হাসপাতালের কো-ডিরেক্টর ড. জিম কেয়ানি বলেন, আরএসভি বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে, ইমিউন সিস্টেমের উপরও নির্ভর করে। শিশু ও বয়স্করা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সবচেয়ে ঝুঁকিতে নবজাতকরা। এ বছর শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাইরে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় তাদের ইমিউন সিস্টেম গড়ে ওঠেনি।”
যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে এখন ফুসফুসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। আইসিইউএর উপরও চাপ বাড়ছে।
আরএসভি’র কোনো টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি। সম্প্রতি এফডিএর কাছে টিকা তৈরীর অনুমতি পাওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার।
প্রকোপ থেকে বাঁচতে আপাতত কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।