মুজাহিদুল ইসলাম, ঔষধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শকঃ

  • Ace(এইস)
  • GENERIC : Acetaminophen.
  • Perent Brand: panadol
  • Parent Company: GlaxoSmithkline
  • Country: BrentFord, England
  • Generic approved by FDA

উপাদানঃ

ট্যাবলেটঃ প্রতিটি ট্যাবলেটে রয়েছে প্যারাসিটামল বিপি ৫০০ মি.গ্রা.

সাসপেনশনঃ প্রতি ৫% সাসপেনশনে রয়েছে প্যারাসিটামল বিপি ১২০মি.গ্রা.

বিবরনঃ Ace(এইস) একটি পরীক্ষিত বেদনা নাশক এবং জ্বর নিবারক। Ace(এইস) পেইন থ্রেশহোল্ড এর বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যথানাশক কার্যকারিতা ও হাইপোথালমিক হিট রেগুলেটিং সেন্টারের উপর কাজ করে জ্বরনাশক কার্য়কারিতা প্রদর্শন করে। ধারনা করা হয় যে এসব কার‌্যকারিতা পোষ্টাগ্লান্ডিন সংশ্লেষনে বাধাদানের সাথে সম্পর্কিত,জ্বর নিবারক ও বেথানাশক হিসেবে। Ace(এইস) অ্যাসপিরিন এর সমতুল্য কিন্তু অ্যাসপিরিন বা অ্যাসপিরিন সম্বলিত ঔষধের মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না, Ace(এইস) মুখে সেবনের পর দ্রুত ও সম্পূর্ন ভাবে শোষিত হয়।

ইহা- ট্যাবলেট,সাসপেনশন,পেডিয়াটিক ড্রপ,সাপোজিটরি আকারে পাওয়া যায়।

নির্দেশনাঃইনফ্লয়েন্জা ,মাথাব্যথা, দাঁতব্যথা, কানব্যথা,স্নায়ুর গোলযোগ জনিত ব্যাথা,ঋতুস্রাবের সময় ব্যাথা,অপেক্ষাকৃত কম তীব্র বাতের ব্যথায় সাময়িক প্রশান্তির জন্য ও জ্বর নিবারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

সেবন মাত্রা ও সেবনবিধিঃ

পূর্ণ বয়স্কঃ ০.৫-০.১ গ্রাম (১-২টি ট্যাবলেট) প্রতি ৪-৬ ঘন্টা পরপর। দৈনিক সর্বোচ্চ সেবন মাত্রা ৪ গ্রাম (৮ টি ট্যাবলেট)

শিশুঃটিকা পরবর্তী জ্বরের ক্ষেত্রে ৬০ মি.গ্রা. প্রয়োজন হলে ৪-৬ ঘন্টা পরে দ্বিতীয় মাত্রা।

৩ মাসের কম বয়সে (শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে);প্রতিদিন ১০ মি.গ্রা. /কেজি (জন্ডিস আক্রান্ত হলে ৫মি.গ্রা./কেজি) দৈহিক ওজন হিসেবে ৩-৪ বার।

৩মাস থেকে ১ বৎসরঃ প্রতিদিন প্রতিদিন ৬০-১২০মি.গ্রা., অথবা আধা/এক চা চামচ,প্রয়োজন অনুযায়ী ৩-৪বার।

১-৫ বৎসরঃ প্রতিদিন ১২০-২৫০ মি.গ্রা. অথবা ১-২ চা-চামচ প্রয়োজন অনুযায়ী ৩-৪ বার।

৬-১২ বৎসরঃ প্রতিদিন ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. অথবা ২-৪ চা-চামচ প্রয়োজন অনুযায়ী ৩-৪ বার।

(অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য)

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াঃ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব বিরল, কখনো তা স্কিন র্যাশ ও অন্যান্য এলার্জি জনিত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রা যকৃতে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। যকৃতে বিষক্রিয়ার প্রাথমিক লক্ষন বমি বমি ভাব, বমি এবং অস্বস্তি।

প্রতিনির্দেশনাঃযকৃত ও বৃক্কের তীব্র অকার্য়কারিতায় এবং প্যারাসিটামল এর প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের দেয়া ঠিক নয় ।

 

সাবধানতাঃ যকৃত ও বৃক্কে সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এ ঔষধ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যাথার জন্য ১০ দিনের বেশি এবং জ্বরের জন্য ৩ দিনের বেশী সেবন না করাই উচিত।

 

গর্ভবতী স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রেঃ

গর্ভাবস্থায় ও দুগ্ধদান কালে Ace(এইস) নিরাপদ।

প্রায়শই Ace(এইস) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নাবলী –

মেয়াদোত্তীর্ণ হলে কি করবেন?

  • মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে Ace(এইস)এর একটি ডোজেও খারাপ প্রভাব হতে পারে। তবে সঠিক পরামর্শের জন্য আপনার প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অথবা ফার্মাসিস্টের সাথে আলোচনা করুন যদি আপনি অসুস্থ অনুভব করেন। মেয়াদউত্তীর্ণ ড্রাগ আপনার রোগ চিকিৎসায় অকার্যকর হতে পারে। নিরাপদ থাকার জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধ নেওয়া উচিত নয়। দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় একটানা ঔষধের প্রয়োজন যেমন হার্ট অসুস্থতা, খিঁচুনি, এবং এলার্জির ক্ষে্ত্রে আপনার প্রাথমিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অথবা ফার্মাসিস্টের সাথে আলোচনা করুন ।

Ace(এইস) সংরক্ষনঃ

  • কিছু ওষুধ কক্ষ তাপমাত্রায় সরাসরি আলো এবং তাপ থেকে দুরে রেখে সংরক্ষণ করুন। ওষুধ বরফে পরিণত করবেন না যদি না প্যাকেজে নির্দেশ দেওয়া থাকে। ওষুধ শিশু ও পোষা প্রাণী থেকে দূরে রাখুন।
  • ঔষধ টয়লেটে ফ্লাশ করবেন না বা ড্রেনে ঢালবেন না যদি না তা করতে বলা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রত্যাখ্যাত ঔষধ পরিবেশ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কিভাবে নিরাপদে Ace(এইস) বাতিল করতে হবে তার উপর আরো বিস্তারিত জানার জন্য আপনার ফার্মাসিস্ট বা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন অনুগ্রহ করে।

Ace(এইস) এর ওভারডোজ

  • নির্ধারিত ডোজের বেশি নেবেন না। বেশি ঔষধ নিলে আপনার উপসর্গের উন্নতি হবে না; বরং তারা থেকে বিষক্রিয়া বা গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আপনার যদি সন্দেহ হয় আপনি বা অন্য কেউ Ace(এইস)বেশি মাত্রায় নিয়েছেন দয়া করে নিকটস্থ হাসপাতালে বা নার্সিং হোমের জরুরি বিভাগে যান।
  • আপনার ওষুধ অন্য কারুর একই রোগ থাকলেও তাকে দেবেন না। মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে।.
  • আরও তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসক অথবা ফার্মাসিস্ট এর সঙ্গে পরামর্শ করুন বা পণ্যের প্যাকেজ দেখুন।
  • Ace(এইস) ডোজ মিস করলে কি করবেন?
  • আপনি কোন ডোজ না নিয়ে থাকলে, লক্ষ্য করার সাথেই নিয়ে নিন। পরবর্তী ডোজের সময় কাছাকাছি হলে আগের ডোজ ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী ডোজ সঠিক সময় নিন। না নেওয়া ডোজের ক্ষতিপূরণ করতে অতিরিক্ত ডোজ নেবেন না। আপনি নিয়মিত ডোজ নিতে ভুলে গেলে, এলার্ম সেট করুন বা পরিবারের সদস্যদের বলুন আপনাকে স্মরণ করিয় দিতে। আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

 

বাংলাদেশে যে সকল নামে পাওয়া যায়ঃ নিন্মে ১০ টি দেশের শীর্ষস্থানীয় কম্পানীর ঔষধের নাম দেওয়া হলো-

Brand name – company

parapyrol – GSK

[symple_box style=”boxinfo”] pac – IBN SINA Tamen- SKF Ace – Square napa- Beximco xcel -Aci
[/symple_box]

 

Renova – Opsonin