মুজাহিদুল ইসলাম, ঔষধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শকঃ
ই সালবিউটামল
বিবরণঃ
সালবিউটামল একটি বিটা-২ এ্রনেসেপ্টর এগোনিস্ট যার মসৃণ ও স্কেলেটাল মাংসপেশীর উপর কার্যকারিতা আছে। যেমন শ্বাসনালী ও ইউটেরাইন পেশীর প্রসারণ এবং মাংসপেশীর কাঁপুনী। ইহা কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তত একটি সিমপ্যাথেটিক এজেন্ট যার প্রধাণত বিটা-২ এড্রেনোসেপ্টর এবং শ্বাসনালীর মাংসপেশীর নির্বাচিত রিসেপ্টরগুলোর উপর কার্যকারিতা নেই। এছাড়াও ইহা মাস্ট কোষ হতে হিস্টামিন, নিউট্রোফিল কেমোটেকটিভ ফ্যাক্টর (NCF) এবং প্রোস্টাগ্ল্যানডিন D2 (PGD2) এর নিঃসরণে বাধা দিয়ে এন্টিএলার্জিক হিসেবে কাজ করে।

উপস্থাপনাঃ
ই সালবিউটামল ট্যাবলেট: প্রতিটি ট্যাবলেটে রয়েছে সালবিউটামল সালপেট বিপি যা সালবিউটামল ৪ মিগ্রা এর সমতুল্য।
ই সালবিউটামল সিরাপ: প্রতি ৫ মিলি সিরাপে রয়েছে সালবিউটামল সালপেট বিপি যা সালবিউটামল ২ মিগ্রা এর সমতুল্য।
নির্দেশনা:
হাঁপানি, শ্বাসনালীর দীর্ঘদিনের প্রদাহ, বুকে ব্যাথা এবং শ্বাসনালীর খিঁচুনী জনিত রোগে নির্দেশিত। অপরিণত প্রসব ব্যাথা নিয়ন্ত্রনেও ই সালবিউটামল নির্দেশিত।
মাত্রা ও সেবনবিধিঃ ই সালবিউটামল ট্যাবলেট ও সিরাপ সাধারণত দৈনিক ৩-৪ বার নিম্নলিখিত মাত্রায় অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
সিরাপঃ
১২ বছরের উর্ধ্বেঃ ৫-১০ মিলি সিরাপ।
৬-১২ বছরঃ ৫ মিলি।
২-৬ বছরঃ ২.৫ মিলি।
ট্যাবলেটঃ ২-৪ মিগ্রা.।
প্রতিনির্দেশনা: বিটা ব্লকার ঔষধের সাথে ই সালবিউটামল একত্রে ব্যবহার করা যাবে না। সালবিউটামল বা এর যেকোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতার ক্ষেত্রেও প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ প্রতিক্রিয়া: প্রয়োগমাত্রার উপর নির্ভর করে স্কেলেটাল মাংসপেশীর মৃদু কম্পন, বুক ধড়ফড় করা অথবা পেশি সংকোচন হতে পারে। কখনো কখনো উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। হাইপারটেনশন, ট্যাকিকার্ডিয়া এবেং মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশনের রোগীদের ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
কোনো রোগীর ক্ষেত্রে স্কেলেটাল মাংসপেশীর মৃদু কাঁপুনী হতে পারে। এ বিষয়টি নির্ভর করে প্রয়োগমাত্রার উপর। স্কেলেটাল মাংসপেশীর উপর সালবিউটামলের ক্রিয়ার জন্য কখনো কখনো উত্তেজনা দেখা দিতে পারে যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ক্রিয়ার জন্য হয় না। যে সমস্ত রোগীর হাইপারটেনশন, মায়োকার্ডিয়াল অপর্যাপ্ত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সালবিউটামল প্রয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং বাধ্যবাধকতা না থাকলে ব্যবহার করা উচিত নয়।
সতর্কতাঃ যেসকল রোগীর শ্বাসযন্ত্রের খিঁচুনী জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেসকল রোগীরা হাইপারথাইরয়ডিজম, হৃদরোগ অথবা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ই সালবিউটামল ব্যবহার করা যেতে পারে। অতি মাত্রায় সেবনের ফলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গর্ভাবস্থায় এবং দুগ্ধদানকালে:
গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাসে ই সালবিউটামল ব্যবহার করা যাবেনা। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্যান্য ঔষধের সাথে ক্রিয়াঃ
সালবিউটামল গ্রুপের ঔষধ ও অন্যান্য মুখে খাওয়ার সিমপ্যাথোমেটিক এজেন্ট একত্রে দেয়া উচিত নয়। কারণ এদের একত্রে দিলে হৃদযন্ত্রে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। যেসকল রোগী মনোএমিনঅক্সিডেজ ইনহিবিটর বা ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট ব্যবহার করছেন তাদের ক্ষেত্রে স্যালবিউটামল গ্রুপের ঔষধ সতর্কতার সাথে দিতে হবে। তা না হলে রক্তসংবহননালীর উপর সালবিউটামলের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিটা ব্লকিং এজেন্ট ও স্যালবিউটামল একত্রে ব্যবহার উচিত নয় কারণ এরা একে অপরের কার্যকারিতা ব্যহত করে। যেসকল ঔষধ সেরাম পটাশিয়াম লেভেল কমিয়ে দেয় এমন ঔষধগুলোর সাথে সালবিউটামল সিরাম পটাশিয়ামের মাত্রা আরো কমিয়ে দিতে পারে।
সরবরাহঃ
ই সালবিউটামল ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে রয়েছে ১০*১০ টি ট্যাবলেট ব্লিস্টার প্যাকে।
ই সালবিউটামল সিরাপ: প্রতি বাক্সে রয়েছে ৬০ মিলি/১০০ মিলি সিরাপ PET বোতলে।

তাছাড়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোন তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন, “সুরক্ষা”র কর্মীদের সাথে অথবা ফেসবুক থেকে প্রশ্ন করুন ঔষধবার্তা
অথবা ডায়াল করুন ০১৮৩৩৭৭৭৫৩০, ০১৬৮৮৬৯১৭৩৫ নাম্বারে। জরুরী মুহুর্তে যেকোন স্বাস্থ্য সেবা পেতে গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন Shurokkha এপস টি।
এপস ডাউনলোড করুন এখান থেকে।