বিবরণ:
ইনফ্লাজিক গ্লুকো-কর্টিকয়েড শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত যা প্রাকৃতিক কর্টিকোস্টেরয়েডের সমবৃত্তি সম্পন্ন।
কার্যপদ্ধতি:
চিকিৎসা কাজে এর প্রধান কার্যকারিতা গ্লুকো-কর্টিকয়েডের প্রদাহ বিরোধী এবং ইমিউনোসাপ্রেসিভ ভূমিকার ওপর নির্ভরশীল।
ব্যবহার:
গ্লুকো-কর্টিকয়েডের পুনঃস্থাপন চিকিৎসা, এলার্জি সমস্যা ও প্রদাহ দমন, আন্ত্রিক প্রদাহ হাঁপানি সহ শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য রোগ, ইমিউনোসাপ্রেশন এবং বাতরোগে কার্যকর।
সেবনবিধি:
মুখে খাবার জন্য: প্রাথমিকভাবে দৈনিক ১০-২০ মিগ্রা. (তীব্র সমস্যায় দৈনিক ৬০ মিগ্রা. পর্যন্ত)। সকালে নাস্তার পর গ্রহন করা যেতে পারে, কোন কোন ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ বা মাস পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হয়। পরবর্তী সাধারণ মাত্রা দৈনিক ২.৫-১৫ মিগ্রা.। কোন কোন ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার প্রয়োজন হতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ধার্যকৃত স্বল্পমাত্রা কোন অনাকাংখিত উপসর্গের সৃষ্টি করেনা। তবে পাকস্থলি ও আন্ত্রিক সমস্যা যেমন, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। রাত্রিকালীন অত্যধিক মুত্রত্যাগ, ক্ষুধাবৃদ্ধি, মেদ বৃদ্ধি, ফেসিয়াল রাউন্ডিং (গোলাকৃতি মুখমন্ডল) এবং ত্বক ফেটে যাওয়া ইত্যাদি প্রেডনিসোলনের চিকিৎসার ফলে দেখা দিতে পারে। নার্ভাসনেস, নিদ্রাহীনতা, ইনসমনিয়াও দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা:
অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির নিঃসরণে জটিলতা, সংক্রমন, শিশু ও বয়ঃসন্ধিতে, যক্ষ্মার পূর্ব ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, বৃক্ক ও যকৃতে কোন সমস্যা থাকলে, পারিবারিক ইতিহাস, ডায়াবেটিস মেলাইটাস থাকলে এর ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালীন ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে শেষের দিকে এই ওষুধ ব্যবহার না করাই ভালো। স্তন্যদানকালে কম মাত্রায় ইহা গ্রহন করা যাবে।
বিরুদ্ধ ব্যবহার:
কেবলমাত্র জীবন রক্ষার প্রশ্ন ব্যতীত নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্র সমূহে ইনফ্লাজিক ব্যবহার নিষিদ্ধঃ

  1. পেপটিক আলসার।
  2. অস্টিওপোরোসিস।
  3. সংক্রমন।
  4. ডায়াবেটিস মেলাইটাস।
  5. মানসিক সমস্যা।

বানিজ্যিক সরবরাহ:
ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে ১০০/২০০/৩০০/৫০০ টি ট্যাবলেট। প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে প্রেডনিসোলন বিপি ৫ মিগ্রা।
ইনজেকশন, চোখের ড্রপ আকারেও পাওয়া যায়।