আমরা অনেক সময় ভাত তৈরি করার সময় ভাত ঝরঝরা ও দেখতে সুন্দর লাগার কারনে ভাতের মাড় ফেলে দেই অথচ এই নির্যাস ফেলে দিলে ভাতের পুষ্টিগণ তেমন কিছু থাকে না – সে জন্য ভাত রাঁধার সময় মাড় ফেলে দেওয়া মোটেই উচিৎ নয় কারন এতে প্রায় ১৯ রকমের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান ।

মাড় ক্যালসিয়াম ও ফস্ফারসের ভারসাম্যতা রক্ষা করে ঃ- খাবারে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে তা ফসফরাস শোষন ক্ষমতা-হ্রাস করে। আবার অধিক ফসফরাস সমৃদ্ধ খাদ্য ক্যালসিয়াম শোষনে বাধা দেয়। এতে ক্যালসিয়াম ঘাটতি হতে বাধ্য। করে । তাই ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্য রক্ষা করতে ভাতের মাড় অদ্বিতীয়।

ভাতেরমাড়ে চালের সব গুনাগুন ই বিদ্যমান ( প্রোটিন, আঁশ ও ভিটামিন-বিকমপ্লেক্স ইত্যাদি ) ভাতেরমাড়কোষ্টকাঠিন্যদূরকরে

উচ্চ রক্ত চাপের ভাল একটি পথ্য ঃ- যাদেরউচ্চরক্সচাপআছেতারামাড়নাফেলেজাউরান্নাকরেখেলে পটাসিয়ামের ঘাটতি কমায় কারন পটাসিয়াম আবার উচ্চরক্তচাপকমায়।

ভাতের মাড়ে অধিক পরিমাণে গ্লুকোজ আছে বিধায় রক্তে যথেষ্ট শর্করা সরবরাহ করে। ফলে ডায়রিয়া ও অন্ত্রের দুর্বলতা জনিত কারনে ভাল একটি শক্তিশালী সাপ্লিমেন্টরি টনিক বলতে পারেন অথবা যারা পেটের আলাসার জাতীয় সমস্যায় ভুক্তভোগী তারা নিয়মিত ভাতের মাড়ে সামান্য লবন দিয়ে চামচে তুলে স্যুপের মতো খেলে অনেকটা ভাল উপকার পেয়ে থাকেন । ( মনে রাখবেন ভাতের মাড়ে সামান্য একটু লবণ দিয়ে সেবন করলে তা সাধারণ স্যালাইনের চাইতে অনেক ভাল– )

এতে আরো রয়েছে টোকোট্রাইনোল যা অত্যন্ত কার্য়কর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভাতের মাড়ের মধ্যে আরো একটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যাকে বলে Oryza Sative Linn । এতেআছেঅ্যান্টিঅক্সিডেন্টওস্টেরয়েড।প্রাকৃতিকস্টেরয়েডআমাদেরদেহেরমাংসপেশিকেশক্তিশালীকরে।এখনবাজারে ও এই সাপ্লিমেন্টরি নিউট্রশনাল স্টেরয়েডবড়িপাওয়াযায়।খেলোয়ারওক্রীড়াবিদরাতাদেরমাংসপেশীকেশক্তিশালীওঅধিককার্যক্ষমকরতেএইবড়িনিয়েথাকেন।তবেএবড়িতেকারোকারোপার্শ্বপ্রতিক্রিয়াদেখাদেয়।কিন্তুভাতেরমাড়খেলেকোনপার্শ্বপ্রতিক্রিয়াদেখাদেয়না।

( গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে যেহেতু মাড় ভিটামিন ই সহ অনেক মূল্যবান উপাদান আছে যা মেলানিন কে আঁকড়ে ধরতে সহায়ক ) -ইহা সান প্রটেক্টর হিসাবে কাজ করে — পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে ভাতের মাড়ের মাঝে তুলো ভিজিয়ে সমস্ত মুখে লাগাতে হবে টোনারের মতো। এটি ত্বককে ফর্সা করার মাধমে ত্বককে করে তুলে দীপ্তিময়। এটি ত্বকে ময়েশ্চেরাইজার এবং এন্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে এবং এতে অতিবেগুনী রশ্মি শোষণের ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের ত্বকের উপর তামার প্রলেপ পড়ার প্রবণতা রয়েছে আর ভাতের মাড় সেটা গঠন বাধা দেয় এবং ত্বকে হাইপার পিগমেন্টেশনে ও বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করে। যদি মুখের ত্বকে ছোট ছোট ক্ষত থাকে তা সাড়াতে ভাতের মাড় খুব উপকারী – বিশেষ করে চামড়ার লাইনার দাগ সমুহ কে বিলিন করতে বেশ ভাল কাজ করে ( অবশ্য বাজারজাত কস্মেটিক সামগ্রী দাগ পরিস্কার করার জন্য তার সাথে আর দু একটি ভেষজ যেমন, লেমন ও ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি যুক্ত করে থাকেন )

চুলের জন্য অতুলনীয় একটি কন্ডিশনার – চুল কে শ্যাম্পু করার পরে চুলে ভাতের মাড় দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। চালের প্রোটিন চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে চুলকে মজবুত করে নরম ও চকচকে করে, বিশেষ করে লম্বা চুল কে খুবি সুন্দর করে । ( রিসার্চ অনুসারে প্রমানিত বা নামি দামি কস্মেটিক কোম্পানি সমুহ ও তা অনুসরণ করে থাকে, সেই সাথে আমলার পাউডার ও লেমন জুস মিশ্রিত করে ব্যাবহার করলে বাজারের সাধারণ কন্ডিশনারের চাইতে অনেক ভাল — প্রমানিত )