পিরিয়ড নিয়ে নানা ধরণের কল্পকাহিনী শত শত বছর ধরে সারা বিশ্বেই প্রচলিত রয়েছে। কিছু শুনতে হাস্যকর, আবার কিছু শুনতে একটু অদ্ভুতও। তবে এসব কিছু যাদের পিরিয়ড হয়, তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। তাই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত কল্পকাহিনিগুলো আমরা ভুল প্রমাণিত করতে যাচ্ছি…
ট্যাম্পন জরায়ুর পর্দা ছিড়ে ফেলে এবং এর ফলে কুমারিত্ব চলে যায়। বিশ্বের অনেক জায়গায় ট্যাম্পন ব্যবহার করাটা এক ধরণের গোপন বিষয় বা ট্যাবু। কারণ প্রচলিত আছে যে, এটি ব্যবহার করলে মেয়েদের জরায়ুর পর্দা ছিড়ে যায়। আর তার মানে হচ্ছে সে আর কুমারী থাকেনা।
সত্য হচ্ছে জরায়ুর পর্দা নানা কারণে প্রসারিত বা ছিঁড়তে পারে। যেমন, ব্যায়াম করা, সাইকেল চালানো। যাই হোক জরায়ুর পর্দা কুমারিত্ব নির্ধারণ করেনা।
পিরিয়ডের সময় সহবাস আপনার সঙ্গীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এটার বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই যে, পিরিয়ডের সময় সহবাস করা ক্ষতিকর বা মৃত্যুর কারণ। এই ভূল ধারণার কারণ হিসেবে মনে করা হয় যে, ঋতুস্রাবের রক্ত নোংবা এবং বিষাক্ত। কিন্ত আসলে তা নয়। তাই বহু বছর ধরে এই অন্ধবিশ্বাস থাকলেও এর পেছনে কোনো স্বাস্থ্যগত কারণ নেই যা আপনাকে পিরিয়ডের সময় সহবাস থেকে বিরত রাখতে পারে।
ঋতুস্রাবের ব্যাথা বিয়ের পর কমে যায়। এই ধারণার পেছনে চিকিৎসা শাস্ত্রে এমন কোনো প্রমাণ নেই, যাতে প্রমাণিত হয় যে বিয়ের পর পিরিয়ডের ব্যাথা কমে যায়।
অনেক নারী বলেছেন যে, সন্তান জন্মের পর ঋতুস্রাবের ব্যাথা কমে গেছে। কিন্ত এটা সত্য নয়।
ঋতুস্রাবের একটি স্বাভাবিক বিষয় হচ্ছে ব্যাথা। আর বেশিরভাগ সময় ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা নিলেই এটির সমাধান সম্ভব।
ঋতুস্রাবের সময় ব্যায়াম করা উচিত নয়। কারণ এর ফলে জরায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যা বলে যে, পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করা ক্ষতিকর বা জরায়ুর জন্য বিপজ্জনক। বস্তত গবেষনায় দেখা গেছে, ব্যায়াম পিরিয়ডের ব্যাথা কমাতে সহায়তা করে। আসলে করতে চান কিনা সেটা আপনার ‍উপর নির্ভর করে। কিন্ত এগুলো না করার কোনো স্বাস্থ্যগত কারণ নেই।