সাদা স্রাব বা লিকোরিয়া (Leukorrhea) হলো পানির মতো তরল পিচ্ছিল স্বচ্ছ সাদা পদার্থ যা মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে আসে। এটা জরায়ু ও যোনিপথের সাধারণ নিঃসরণ যাতে মরা কোষ ও কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে।
>> স্বাভাবিক সাদাস্রাব:
যে কোনো সুস্থ্য নারীর শরীর থেকে এ ধরনের নিঃসরণ খুবই স্বাভাবিক এবং প্রয়োজনীয়। যোনিপথ নারীদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কারণ,
▪ এটি একটি যৌন অঙ্গ, সহবাসে এটি সরাসরি ব্যবহৃত হয়।
▪এটি একটি প্রজনন অঙ্গ, এই পথে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়।
তাই যোনিপথের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি এবং তা পেটগহবরে ছড়িয়ে গিয়ে জীবনের মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। স্বাভাবিক সাদাস্রাব এই অঙ্গের সুস্থতা বজায় রাখতে, একে কর্মক্ষম রাখতে ও পেটগহবরের সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাদাস্রাবের পরিমাণ নারীর জীবনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হতে পারে। বিশেষ কিছু সময়ে যেমন, যৌন ভাবনা বা উত্তেজনার সময়, ডিম্ব প্রস্ফুটনের সময় (ঋতুচক্রের মাঝামাঝি সময়), মাসিকের আগে ও পরে, গর্ভকালীন সময় যে এটা আপনার যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের সুস্থতাকেই ইঙ্গিত করে। তবে এই নিঃসরণের স্বাভাবিক মান বজায় রাখা জরুরি, তা অস্বাভাবিক সাদাস্রাবে রূপান্তরিত হতে পারে।
>> অস্বাভাবিক সাদাস্রাব:
যে স্রাব নিঃসরণে অস্বসিত্ম বোধ হয় যেমন:
▪বেশি পরিমাণ নিঃসরণ যাতে পরনের কাপড়, পেটিকোট, প্যান্টি বেশি ভিজে যায়।
▪ নিঃসরণের সাথে যোনিপথ ও আশেপাশের অংশ চুলকায়।
▪ নিঃসরণের সাথে দুর্গন্ধ বের হয়।
▪ নিঃসরণ স্বচ্ছ সাদা, তরল ও পিচ্ছিলের পরিবর্তে বাদামী, সবুজ, হলুদ বা ঘন সাদা থকথকে হয়।
▪ ফেনাসাদা বা চাল ধোয়া পানির মতো তরল পদার্থ বের হয়।
>> চিকিৎসা:
অতিরিক্ত সাদা স্রাব, দূর্গন্ধযুক্ত সাদা স্রাব এবং সাথে চুলকানির সমস্যা থাকলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।