একটি শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠা অর্থাৎ ওর পর্যাপ্ত পুষ্টি, বৃ্দ্ধি, বুদ্ধি ও বিকাশের জন্য তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়গুলো হলো:-
১. পর্যাপ্ত খাদ্য
২. মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুস্থ পরিবেশ।
৩. মা ‍ও শিশুর পরিচর্যা বা লালন পালন করা।
পর্যাপ্ত খাদ্য বলতে পরিবারের সারা বছরের খাদ্যের নিশ্চয়তা বোঝানো হয়। সঠিক রোগ নির্ণয় ও যথোপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান স্বাস্থ্যসেবার অঙ্গ। বায়ুদুষন, পানিদূষন, শব্দদূষন, অনিরাপদ পারিবারিক পরিবেশ ইত্যাদি সবই সুস্থ পরিবেশের অন্তরায়। উন্নত শিশুস্বাস্থ্যের জন্য মায়ের স্বাস্থ্যের পরিচর্যা জরুরী। এটা অনেকটা গাছ ও ফলের সম্পর্কের মত। সুস্থ মা সুস্থ শিশুর জন্ম দিবেন এবং রোগব্যাধিমুক্ত থাকলে ভালোভাবে শিশুর যত্ন নিতে পারেন। এতে করে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবে। শিশুর পুষ্টি, বৃদ্ধি, বুদ্ধি ও বিকাশের এ তিনটি শর্তকে আমরা সংক্ষেপে বললে বলবো খাদ্য, স্বাস্থ্য ও লালন-পালন।
এখানে আমরা শিশুর খাদ্য ও লালন-পালন নিয়ে আলোচনা করব। শিশু খাদ্য হিসেবে প্রথমেই আমাদের উল্লেখ করতে হবে মায়ের দুধের কথা। মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ এই মায়ের ‍বুকের দুধ। প্রতিটি শিশুর জীবন শুরু হবে মায়ের দুধ খেয়ে এবং প্রথম ৬ মাস শিশু আর কিছুই খাবে না। এমনকি পানিও না।
এক বছর বয়সী শিশুর খাদ্য বিষয়ে কিছু মৌলিক কথা আমরা এখানে তুলে ধরছি:-
১. ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শিশু কেবলমাত্র মায়ের দুধ খাবে।
২. ৬ মাস পূর্ণ হলে শিশুর পরিপাকতন্ত্র বাড়তি খাবার গ্রহণের উপযুক্ত হয়।
৩. তাই বলে সব খাবারই একসাথে শিশুকে দেয়া যাবে না।
৪. বাড়তি খাবার শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে। ক্রমান্বয়ে একটির পর একটি খাবার দিতে হবে, যেন তা শিশু সহজেই হজম করতে পারে।
৫. ৯ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধই শিশুর ‍মুল খাবার থাকবে।
৬. ৯ মাস বয়স পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে ডিমের সাদা অংশ খাওয়ানো যাবেনা।
৭. ৯ মাস বয়স হতে ১ বছর বয়সের মধ্যে বাড়তি খাবার ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে।
৮. শিশুর খাবার হওয়া চাই পরিমাণে কম, কিন্ত পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।
৯. ১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে গরুর দুধ বা টিনের ফুলক্রিম দুধ না দেয়াই ভালো।
১০. ১ বছর বয়স থেকে পারিবারিক খাবারই শিশুর জন্য মুল খাবার হবে।
শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে ধীরে ধীরে বাড়তি খাবার শুরু করার নমুনাঃ
১. ৬-৮ মাস পূর্ণ হলে ২৫০ মিলি/ আধা বাটি দিনে ২ বার করে মোট ১ বাটি।
২. ৯-১১ মাস পূর্ণ হলে ২৫০ মিলি/ আধা বাটি দিনে ৩ বার+ ১-২ বার পুষ্টিকর নাশতা সহ মোট ২৫০ মিলি/ বাটির দেড় বাটি।
৩. ১২-১৩ মাস পূর্ণ হলে ২৫০ মিলি (১ পোয়া) বাটির ১ বাটি ৩ বার+ ১/২ বার পুষ্টিকর নাশতা সহ মোট ২৫০ মিলি/ ১ পোয়া বাটির ৩ বাটি+ ১-২ বার পুষ্টিকর নাশতা।
#প্রথম সপ্তাহে সুজি+তেল+লবণ+ সামান্য চিনি দিয়ে পাতলা হালুয়া দিনে ১-২ বার।
#দ্বিতীয় সপ্তাহে সুজির হালুয়া+ফল (পাকা কলা, পাকা পেঁপেঁ) দিনে ১-২ বার।
#তৃতীয় সপ্তাহে সুজির হালুয়া+ফল+ডিমের কুসুম দিনে ২-৩ বার।
#চতুর্থ সপ্তাহে খিচুড়ী খাওয়ানো শুরু করুন+ ওপরের খাবার দিনে ২-৩ বার।
খিচুড়ি তৈরীর নিয়মঃ
২ মুঠ চাল+ ১ মুঠ ডাল + ১ মুঠ রঙ্গিন সবজি + ৩ চা চামচ তেল + অর্ধেকটা পেঁয়াজ + লবণ পরিমাণমতো।
খিচুড়িতে যেকোন ধরণের চাল ও ডাল ব্যবহার করতে পারেন। রঙ্গিন সবজি বলতে সবুজ, হলুদ ও লাল রঙ্গের সবজি বুঝাই। শিশুদের জন্য উন্নতমানের তেল ব্যবহার করা ভালো। আর হলুদ, মরিচ বা অন্যান্য মসলা ব্যবহার না করলেও চলে।
বাড়তি খাবারের ঘনত্বঃ
১. শিশু বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে তার চাহিদা অনুযায়ী খাবারের শক্তি ঘনত্ব বা এনার্জি ডেনসিটি বাড়াতে হবে যাতে ১ গ্রাম খাবারে ১.৫ থেকে ২.০ ক্যালরি থাকে আর তা করা যাবে খাবারে তেল/ঘি/চর্বি/মাখন এসব মিশিয়ে। কারণ ১ গ্রাম তেলে ৯ ক্যালরি পাওয়া যায়।
২. খাবারের ঘনত্ব ঠিক হলে শিশুর খাবারটি পুষ্টিকর হবে, শিশু খাবার চিবাতে পারবে, খাবারের স্বাদ বুঝতে শিখবে ও সহজে গিলতে পারবে।
৩. তরল খাবারের চেয়ে ঘন খাবারে বেশি পরিমানে শক্তি, আমিষ ও অন্যন্য পুষ্টি থাকে, যা শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।
৪. শিশুর খাবার যেন বেশি তরল বা পাতলা না হয়। খাবার যত বেশি তরল বা পাতলা হবে, খাবারের পুষ্টিমান তত কম হবে। মনে রাখতে হবে, শিশুর পেট খুব ছোট থাকে। তাই শিশুকে পাতলা খাবার দিলে অল্পতেই তার পেট ভরে যাবে এবং পুষ্টি কম পাবে, আর পেট ভরা থাকলে শিশু খেতে চাইবে না।
৫. শিশু খাবার তৈরী করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ভাতের পরিমাণ যেন কম হয়, ঘন ঘন এবং দিনে ১ বার হলেও মাছ, মাংস ও ডিম এর যেকোন একটি দিয়ে মেখে খাওয়াতে হবে।
৬. শিশুর ৮-৯ মাস বয়স থেকে নিজে নিজে হাত দিয়ে খাবার নিয়ে মুখে দিতে পারে। এ কারণে এ বয়সে খাবার ছোট ছোট টুকরো করে যেমন মিষ্টি কুমড়া ভাজি, কলা ভাজি, মুরগীর কলিজা, ডিম, এছাড়াও ফল যেমন, পাকা আম, পেঁপেঁ, কাঁঠাল ছোট ছোট টুকরো করে দিলে মুখে দিতে ও খেতে পারবে।
খাবারের পরিমাণঃ
৬ মাস পর থেকে শিশু খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। তাই তার খাবারের পরিমাণও সেভাবে বাড়াতে হবে। শিশুর ৬ মাস বয়সের পর থেকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত বয়স অনুযায়ী বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে।
নিরাপদ খাবারের জন্য ৫ টি মুল বার্তাঃ
১. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

  • হাত পরিষ্কার করে প্রতিবার খাবার তৈরী ও পরিবেশন করুন।
  • হাত ধোয়ার জন্য এমন জায়গায় সাবান রাখতে হবে, যাতে প্রতিবার শিশুর খাবার তৈরী ও খাওয়ানোর সময় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা মায়ের মনে থাকে।
  • শিশুদের পায়খানার রাস্তা পরিষ্কার করার পর এবং পশুপাখি পরিচর্যার পর হাত পরিষ্কার করুন।
  • খাবারের জন্য ব্যবহৃত বাসনপত্র ধুয়ে নিন।
  • রান্নাঘর ও খাদ্য পোকামাকড় মুক্ত করুন।

কাঁচা ও রান্না করা খাদ্য আলাদা রাখুন।

  • অন্যান্য খাবার থেকে কাঁচা সামুদ্রিক খাবার , মাছ ও মাংস আলাদা রাখুন।
  • কাঁচা খাবার রাখার জন্য আলাদা ছুরি ও বোর্ড ব্যবহার করুন।
  • ঢাকনাযুক্ত পাত্রে রান্না করা খাবার রাখুন।

ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করুন।

  • মাংস, ডিম এবং সামুদ্রিক খাদ্য ভালো করে সিদ্ধ করে রান্না করুন।
  • পুনরায় গরম করার সময় ভালো করে গরম করুন। সম্ভব হলে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।

নিরাপদ তাপমাত্রায় সংরক্ষন করুন।

  • রান্না করা খাবার ঘরের তাপমাত্রায় ২ ঘন্টার বেশি রাখবেন না।
  • রেফ্রিজারেটর থাকলেও লম্বা সময় খাদ্য সংরক্ষন করবেন না।
  • শিশুদের খাবার টাটকা হওয়া বাঞ্চনীয় এবং রান্নার পর সংরক্ষন করা উচিত নয়।

নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন।

  • রান্না ও খাবার সময় সবসময় নিরাপদ পানি পান করুন।
  • সবসময় টাটকা খাবার নির্বাচন করুন।
  • পাস্তরিত দুধ খান।
  • যদি কাঁচা খেতে চান তাহলে ফল ও শাক নিরাপদ পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার মেয়াদ পার হলে খাবেন না।

শিশুর অসুস্থতা ও অসুস্থতার পর খাওয়ানোঃ
শিশুর অসুস্থতার সময় আধা শক্ত এবং শক্ত খাবার খাওয়ানো কমিয়ে দেয়া উচিত নয়। এ সময় ঘন ঘন মায়ের দুধ দিতে হবে, যাতে সে বেশি পরিমানে দুধ পায়। তাকে পারিবারিক খাবার ও তার পছন্দের খাবার দিতে হবে। শিশুর অসুস্থতার পর যখন তার ক্ষুধা বেড়ে যাবে তথন ৭-১০ দিন পর্যন্ত তার বাড়তি খাবারের পরিমান বাড়াতে হবে। তাকে বিভিন্ন ধরণের অতিরিক্ত খাবার দিতে হবে। শিশু সেরে উঠলে তার ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
১-২ বছর বয়স পর্যন্ত খাদ্য তালিকাঃ
শিশু যতবার চায়, বুকের দুধ খাওয়ান। বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভাত, ডাল, হালুয়া, খিচুড়ি, ডিম, মাছ, মাংস, সবুজ শাকসবজি, রঙ্গিন পাকা ফল যেমন আম ও কলা খাওয়ান অথবা বাড়িতে অন্যরা যা খায় তাই দিনে ৫ বার খাওয়ান।
২ বছর এবং তার উর্ধ্বে খাদ্যতালিকাঃ
বাড়িতে অন্যরা যা খায় শিশুকেও তা দিনে ৩ বার খাওয়ান এবং এসব খাবারের মাঝে আরো ২ বার পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। যেমন তেলমাখা মুড়ি, রুটি, বিস্কুট, পাকা পেঁপেঁ, পাকা কলা, পাকা আম, কাঁঠাল, পিঠা ইত্যাদি।

শিশুর বুদ্ধি ও বিকাশ
শিশুর বুদ্ধি ও বিকাশ মুলত নির্ভর করে মস্তিষ্কের বিকাশের ওপর। একটি শিশু জন্মের সময় প্রায় ৩৩% মস্তিষ্ক নিয়ে জন্ম নেয়। প্রথম বছর প্রায় ৫৫% মস্তিষ্ক বৃদ্ধি পায় এবং ২য় বছরে বৃদ্ধি পায় ৯৫%। বাকিটা ৫-৬ বছরের মধ্যেই শেষ হয়। সুতরাং মানবশিশুর জীবনের প্রথম ৫-৬ বছর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রথম ২ বছর সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মানব মস্তিষ্ক কোটি কোটি নিউরন বা স্নায়ুকোষের সমষ্টি। আমাদের মস্তিষ্ক তখনই ঠিকভাবে কার্যকর হবে যখন এই নিউরনগুলো পরস্পরের মধ্যে সংযোগ তৈরী হবে। এটা অনেকটা টেলিফোন সেটের পারস্পরিক সংযোগের মত। ধরুন, একটি শহরে ১০০ টি টেলিফোন সেট আছে, কিন্ত এদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের তার টানা হয়নি। সেক্ষেত্রে টেলিফোন সেটগুলো অকার্যকর। শিশুর মস্তিষ্কেও অসংখ্য নিউরনের মধ্যে প্রথম ৫ বছরের মধ্যেই যোগাযোগ তৈরী করতে হবে। অন্যথায় নিউরনগুলো পুরোপুরি কার্যকর হবেনা। এখানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ন তথ্য হলো, এই যে নিউরনের মধ্যে সংযোগ তৈরী করা, এটা প্রথম ৫ বছরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তা না হলে এটা আর কখনোই সম্ভব হবেনা। এটা অনেকটা ‘All or none” এর মতো।
সুতরাং শিশুর বিকাশের জন্য জীবনের প্রথম ৫-৬ বছর বয়স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টিকে কাজে লাগাতে পারলে আজকের শিশু আগামী দিনে উপযুক্ত জনসম্পদে পরিণত হবে। মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর পারস্পরিক সংযোগ তৈরীর মুল উপাদান হলো শিশুকে নিজের ও তার পরিবেশ সম্পর্কে যথেষ্ট উৎসাহী ও সংবেদনশীল করে তোলা। এ বিষয়ে আমাদের করণীয় কী হতে পারে তা আলোচনা করা হলোঃ-
১. শিশুকে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও বস্ত প্রাণী ইত্যাদি চিনতে শিখানো।
২. শিশুকে বিভিন্ন রঙ এবং আকার আকৃতির ছোট বাক্স, কাঠের টুকরো বা প্লাস্টিকের জিনিস দিয়ে খেলতে দিন।
৩. শিশুর সাথে প্রচুর কথা বলুন এবং ছবি দেখিয়ে ছোট ছোট গল্প বলুন। শিশুকে সাথে নিয়ে ছড়া গান করুন এবং আাঁকিআঁকির জন্য কাগজ পেন্সিল দিন।
৪. শিশু কোন কিছু দেখে ভয় পেলে কারণ জানুন এবং ভয় ভাঙ্গিয়ে দিন।
৫. শিশুকে ভাত খাওয়া, হাত ধোয়া, দাঁত মাজা, কাপড় পরা, চুল আঁচড়ানো ইত্যাদি ছোটখাটো কাজ করতে উৎসাহিত করুন।
৬. শিশুকে নিজে নিজে হাঁটতে সহযোগীতা করুন এবং কোনো কিছু ধরে হাঁটতে বা দাঁড়াতে দিন।
৭. শিশুকে অন্য শিশুর সাথে খেলতে দিন এবং নিজেও শিশুর সাথে খেলায় অংশ নিন।
৮. শিশুকে নিরাপদে হাঁটতে, দৌড়াতে, লাফ দিতে, বল ছুড়ে খেলা করতে দিন।
৯. সঠিক উচ্চারণে শিশুর সব প্রশ্নের উত্তর দিন। শিশুকে শুদ্ধভাবে কথা বলতে শিখান।
১০. শিশুরা বড়দের দেখে শেখে। সেজন্য শিশুর সাথে বা তার সামনে ভালো আচরন করুন। তার সামনে ঝগড়া করবেন না।
শিশুরা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এদের পুষ্টি ও বিকাশের ওপর একটি পরিবার, একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল। এদের লালন-পালনে তাই আমাদের যথেষ্ট মনোযোগী ও কৌশলী হতে হবে, পাশাপাশি পর্যাপ্ত সময় বিনিয়োগ করতে হবে।

ডাঃ মাহমুদ হোসেন
সহযোগী অধ্যাপক
শিশু বিভাগ।
মুন্নু মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ।