উপাদান:

  1. ফরটিওর ৩০০ ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে আছে ক্লিনডামাইসিন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি যা ক্লিনডামাইসিন ৩০০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
  2. স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষনিক সমাধান পেতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন “সুরক্ষা” এপস এবং ঘরে বসেই প্রাথমিক সেবা নিন।

ফার্মাকোলজিঃ
ফরটিওর একটি লিঙ্কোসেমাইড এন্টিবায়োটিক। ফরটিওর এর উপাদান ক্লিনডামাইসিন রাইবোজোমের ৫০ সাব-ইউনিটের সাথে যুক্ত হয়ে ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন সংশ্লেষণে বাধা প্রদান করে। ইহার অ্যারোবিক গ্রাম পজিটিভ কক্কি যেমন স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস এপিডার্মিস, পেনিসিলিনেজ ও নন-পেনিসিলিনেজ উৎপন্নকারী স্ট্রেইন), স্ট্রেপ্টোকক্কি, নিউমোকক্কি, অ্যান-অ্যারোবিক গ্রাম-পজিটিভ নন-স্পোর উৎপাদনকারী ব্যাসিলি যেমন- প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম প্রজাতিসমূহ, ইউব্যাকটেরিয়াম প্রজাতিসমূহ, একটি নোমাইসিস প্রজাতি সমূহ, অ্যান-অ্যারোবিক ও মাইক্রোএরোফিলিক, গ্রাম-পজিটিভ কক্কি যেমন- পেপ্টোকক্কাস প্রজাতিসমূহ, পেপ্টোস্ট্রেপটোকক্কাস প্রজাতিসমূহ, মাইক্রোএরোফিলিক স্ট্রেপটোকক্কি এবং ক্লসটেরিডিয়াম পারফেরিনজেস বিরোধী কার্যকারিতা রয়েছে।
নির্দেশনা:
ক্লিনডামাইসিনের প্রতি সংবেদনশীল অ্যান-অ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া অথবা গ্রাম- পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন- স্ট্রেপ্টোকক্কি, স্ট্যাফাইলোকক্কি এবং নিউমোকক্কি দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের চিকিৎসায় ফরটিওর ব্যবহৃত হয়। যেমন- উর্ধ্ব শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, নিম্ন শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বক ও কোমল কলার সংক্রমণ, অস্থি ও অস্থিসন্ধির সংক্রমণ, পেলভিক সংক্রমণ, উদরের অভ্যন্তরীন সংক্রমণ, সেপ্টিসেমিয়া, এন্ডোকার্ডাইটিস, দাঁতের সংক্রমণ এবং মাল্টি ড্রাগ রেসিসট্যান্ট প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসেপোরাম সংক্রমণে কুইনাইন ও এমোডিকুইনের সাথে বিকল্প সহযোগী চিকিৎসা হিসেব।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি:

  1. প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে-তীব্র সংক্রমণ: ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘণ্টা পরপর।
  2. অতি তীব্র সংক্রমণ: ৩০০ মি.গ্রা থেকে ৪৫০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘণ্টা পরপর।
  3. শিশুদের জন্য:তীব্র সংক্রমণ: ৮ থেকে ১৬ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪টি সমবিভকক্ত মাত্রায়।
  4. অতি তীব্র সংক্রমণ: ১৬ থেকে ২০ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪টি সমবিভক্ত মাত্রায়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ফরটিওর ব্যবহারের ফলে যে ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে- পেট ব্যথা, অন্ননালীর প্রদাহ, অন্ননালীর আলসার, বমি ভাব, ডায়রিয়া, প্রুরাইটিস, স্কিন র‌্যাশ ও আর্টিকারিয়া।
প্রতি-নির্দেশনা:
ক্লিনডামাইসিন অথবা লিঙ্কোমাইসন অথবা এ ওষুধের যে কোনো উপাদানের প্রতি অীত সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত।
সতর্কতা:
যেসব রোগীদের পরিপাকতন্ত্রের রোগ বিশেষতঃ কোলাইটিস এর ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফরটিওর ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
ওষুধের আন্তঃক্রিয়া:
ফরটিওর নিউরোমাসকুলার ব্লকিং ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। সেজন্য এ ধরণের ওষুধের সাথে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ল্যাবরেটরী পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ক্লিনডামাইসিন ও এরিথ্রোমাইসিন পরস্পরের কার্যকারিতা প্রতিহত করে। ক্লিনিক্যাল গুরুত্ব বিবেচনা করে এ দুটি ওষুধ এক সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:

  1. গর্ভাবস্থায়: প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-বি। ফরটিওর এর মুল উপাদান ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন মানবদেহের প্লাসেন্টা অতিক্রম করে। বারবার ব্যবহারের পরে এমনিওটিক ফ্লুইডে এ ওষুধের মাত্রা মায়ের মাত্রার ৩০%। সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা থাকলেই কেবল মাত্র ফরটিওর গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত
  2. স্তন্যদানকালে: মাতৃদুগ্ধে ফরটিওর উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং স্তন্যদানকালে এ ওষুধটির সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা না থাকলে নির্দেশিত নয়।
    নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে: নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে ফরটিওর ব্যবহারকালে বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা যাচাই করা উচিত।

মাত্রাধিক্য:মুখে সেব্য ফরটিওর এর ক্ষেত্রে মাত্রাধিক্যের ঘটনা বিরল। মাত্রাধিক্যের ফলে যেসব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা স্বাভাবিক মাত্রার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অনুরূপ। এছাড়াও অপ্রত্যাশিত কিছু প্রতিক্রিয়াও দেখা যেতে পারে। রক্ত হতে ফরটিওর দূরীকরণে হিমোডায়ালাইসিস ও পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস অকার্যকর।
সরবরাহ:

  1. প্রতি বাক্সে ১৫০/৩০০ মি.গ্রা. ফরটিওর ক্যাপসুল ১৬ বা ৩০টি ক্যাপসুল ব্লিস্টার প্যাকে সরবরাহ করা হয়।
  2. ইনজেকশন, লোশন, জেল ও ক্রিম হিসেবেও সরবরাহ করা হয়।

 

Leading Brand in Bangladesh

 

Sl Brand Name Company
1 Cinacyn Beximco Pharma
2 Cleodin General
3 Climycin Square
4 Clindacin Incepta
5 Clindax Opsonin
6 Clinex Aristopharma
Daclin Drug Int.
Lincocin Acme
Lindamax SK-F
Trunac Pharmasia
Qcin Renata
Xindal Orion