নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে বাংলাদেশ ঔষধালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার অনুমোদনবিহীন অবৈধ ঔষধ জব্দ করেছেন ঔষধ প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।ঔষধ প্রশাসনের দাবী,রেজিস্ট্রেশন বিহীন ঔষধ,লাইসেন্স বিহীন আয়ুর্বেদিক জাতীয় ঔষধ উৎপাদন,বিক্রয়ের জন্য মজুদ করছে বলে খবর পাই। যা ঔষধ অ্যাক্ট ১৯৪০ এর ধারা ১৮(বি)ভঙ্গের শামিল।অভিযুক্ত কবিরাজ হোসাইন (৫৬) ও তার ছেলে দিদারুল ইসলাম (২৮) কে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত সোমবার রাতের দিকে ঔষধ প্রশাসনের সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিনা পাল এ অভিযান পরিচালনা করেন। নোয়াখালী জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুদুর জামান বলেন,তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই
অভিযান পরিচালনা করেন। এখানে কোন প্রকারের ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয় করার লাইসেন্স বা সরকারি অনুমোদন ছিল না। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করা হতো। যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুকি সৃষ্টি করে। এজন্য তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল বলেন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক মাসুদুর জামানের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় আমিশাপাড়ার নোয়াগাঁও গ্রামের সৈয়দুর রহমান কবিরাজ বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। বাংলাদেশ ঔষধালয় আয়ুর্বেদিক ল্যাবরেটরি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ ঔষধ জব্দ করে নষ্ট করা হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।