গর্ভাবস্থায় বমি একটি স্বাভাবিক সমস্যা। তবে কখনো কখনো এটি অনেক বেশি হয়। তবে খুব কম নারীর ক্ষেত্রেই তীব্র বমির এ সমস্যা হতে দেখা যায়।

প্রশ্ন : গর্ভাবস্থায় ছোট ছোট কী কী সমস্যা নিয়ে মায়েরা আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন?

উত্তর : সাধারণত তাদের সমস্যাগুলো সেই আগেরগুলোই। তবে তাদের জিজ্ঞাসা এবং জানতে চাওয়ার আগ্রহ বেশি। দেখা যায় সেই বমি নিয়েই আসছে। এখনকার মায়েরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারছে। তখন তাদের সমস্যা নিয়ে তারা অনেক চিন্তিত হয়ে যায়। আমার যে এই সমস্যাগুলো হচ্ছে, এটি কতটুকু, কেন হচ্ছে—সেসব নিয়ে ভাবে। যেমন ধরুন, বমি। বমি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। আমি বলি, আপনারা তো বাংলা সিনেমা দেখেন, গর্ভাবস্থার প্রধান লক্ষণই বমি। এরপর সে জানতে চায়, এই যে বমি হচ্ছে আমার, খেতে পারছি না, এতে কি বাচ্চার ক্ষতি হচ্ছে। তখন ওদের বুঝিয়ে বলতে হয়, এই যে বমি হয়, সেটি হরমোনের পরিবর্তনের জন্য।

প্রশ্ন : আবার অনেকের ক্ষেত্রে পুরো সময়টা বমির সমস্যা থাকে? কখন আসলে বমিটা জটিল?

উত্তর : আসলে এটা দু-একজনের ক্ষেত্রে হয়। প্রথম তিন মাস, আর পরে ৩২ সপ্তাহ বা আট মাসের সময় গিয়ে বমিটা হয়। এটা স্বাভাবিক। প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে বেশি হয়।

আর যাদের মায়ের বা বোনদের ছিল, তাদের একটু বেশি হয়। এ ছাড়া খুব একটা সমস্যা হয় না। এদের মধ্যে দুই থেকে চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করার বা অন্য চিকিৎসা করার দরকার হয়। বাকি সবাইকে যদি আমরা একটু বুঝিয়ে বলি, তাদের দ্বন্দ্বটা যদি মিটিয়ে দিই, তাহলেই হয়। যেমন, আমি বলি, হরমোনের পরিবর্তন, একটু বমিটা হবেই। হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিন/সাড়ে তিন মাস হলে ঠিক হয়ে যাবে। তখন কিন্তু অনেকটা আশ্বস্ত হয়ে যান তারা। তখন আমরা আরেকটু বলি, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আর সন্ধ্যাবেলায় যেহেতু বমি হয়, তাহলে ঘুম থেকে উঠে পানিজাতীয় খাবার খাবেন না। শুকনো মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট এগুলো খাবেন। পরিমাণে কম কম করে বারবার খাবেন।

পানিটাও একবারে খাবেন না। একটু বিরতি দিয়ে অল্প অল্প করে খাবেন। তাহলে সমস্যা কমে আসবে। আর বমির ওষুধ আমরা প্রেসক্রাইব করে দিতে পারি। এরপরও যদি সমস্যা মনে হয়, তখন একটু খাবেন।