গর্ভাবস্থায় অন্যান্য সবদিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি নিজের খাদ্যের দিকে খেয়াল রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরী। এসময় স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রত্যেক গর্ভবতী নারীর জন্য বিশেষ প্রয়োজন।
এসময় তাঁদের খাদ্য তালিকায় দৈনিক খেজুর থাকাটা বাঞ্চনীয়। এছাড়াও ড্রাইফ্রুট, এপ্রিকট, ডুমুর, আপেল, আখরোট, বাদাম, কিসমিস ও পেস্তা বাদাম গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো। কারণ এতে ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতাঃ
- খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
- খেজুরে প্রচুর পরিমাণ আয়রণ থাকে যা এসময় মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ করে।
- খেজুরের মধ্যে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে এবং পেশি নিয়ন্ত্রন বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিন্ড ও কিডনীতে খুব বেশি চাপের সৃষ্টি করে। যা হার্ট বা কিডনী রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ৩-৪ টি খেজুর খাওয়া বাঞ্চনীয়।
- খেজুর শিশুর দাঁত ও হাড়ের বিকাশেরর জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলো প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ সরবরাহ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টি ও ব্রুণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে।
- খেজুর জরায়ুর পেশি শক্তিশালী করার জন্য পরিচিত, যা মসৃণভাবে প্রসব ঘটাতে সহায়তা করে। এছাড়াও প্রসব পরবর্তীকালীন রক্তপাতের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে হাঁপানি ও ঘ্রানকাশি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
তাই সকল গর্ভবতী মায়েরা গর্ভকালীন সময়ে প্রতিদিন ৪টি করে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
অর্গানিক, কেমিক্যালমুক্ত ও ফ্রেশ-প্রিমিয়াম খেজুর পেতে কমেন্ট বক্সে আপনার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিন। আমাদের সংগ্রহে ২০+ রকমের খেজুর রয়েছে যা আপনার চাহিদা পূরণ করবে আমাদের বিশ্বাস।