এসমানিল
উপাদানঃ
প্রতিটি ফিল্ম কোটেড সাসটেইনড রিলিজ ট্যাবলেটে রয়েছে থিওফাইলিন বিপি ৪০০ মিগ্রা.
ফার্মাকোলোজীঃ
এসমানিল মিথাইলজ্যানথিন গ্রুপের একটি ব্রঙ্কোডায়ালেটর। এসমানিল ব্রংকাসের মসৃণ পেশীর শিথিলায়তন করে, ব্রংকাসের সংকোচন দূর করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসকে উদ্দীপিত করে। এটি মায়োকার্ডিয়াম ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, পেরিফেরাল রেজিস্ট্যান্স ও ধমনীর রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং মুত্রবর্ধন করে।
নির্দেশনা: একিউট এজমা নিয়ন্ত্রন, ক্রনিক এজমা নিয়ন্ত্রন, রাত্রীকালীন এজমা ও সকালে শ্বাসনালীর ঘড়ঘড় শব্দের চিকিৎসায়, এজমা জনিত শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
সেবনমাত্রা ও সেবনবিধিঃ
প্রাপ্তবয়স্কঃ প্রতিদিন ১২ ঘন্টা পর পর ১টি করে এসমানিল ট্যাবলেট অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
প্রতিনির্দেশনা:
জ্যানথিন থেকে উৎপন্ন পদার্থের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এসমানিল নির্দেশিত নয়। থিওপাইলিনের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা, পেপটিক আলসার ও খিঁচুনীতে ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও নির্দেশিত নয়।
সতর্কতাঃ
এসমানিল হাইপারথাইরয়ডিজম, ভাইরাস সংক্রমন, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিউর, হাইপারটেনশন, কার্ডিয়াক এরিদমিয়া বা অন্যান্য হৃদরোগ ও মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। কারণ এক্ষেত্রে রোগের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। হার্ট ফেইল, যকৃতের অকার্যকারিতা বা অ্যালকোহল গ্রহনকারী, জ্বরভাবাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত কারণ এক্ষেত্রে থিওফাইলিন ক্লিয়ারেন্স কমে যায় ও সিরাম-থিওফাইলিন ও সিরাম হাফ লাইফ বেড়ে যায়। বিপরীতভাবে, ধুমপান থিওফাইলিন ক্লিয়ারেন্স বাড়িয়ে দেয়।
ঔষধের মিথস্ক্রিয়াঃ
এসমানিল এর মুল উপাদান থিওফাইলিন ক্লিয়ারেন্স কিছু ঔষধের মিথস্ক্রিয়ায় কমে যেতে পারে। যেমন, এলোপিউরিনল, কিছু এন্টিএরিথমেটিক, সিমেটিডিন, ডাইসালফিরাম, ফ্লুভোক্সামিন, ইন্টারফেরন-আলফা, ম্যাক্রোলাইড এন্টিবায়োটিক এবং কুইনোলন, জন্মবিরতিকরণ পিল এক্ষেত্রে সেবনমাত্রা কমাতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহারঃ
গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ব্যবহার সুপ্রতিষ্ঠিত নয়। এসমানিল প্লাসেন্টার প্রতিবন্ধকতা পার হতে পারে এবং মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে এসমানিল সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
পার্শ প্রতিক্রিয়া:
বমি বমি ভাব, বমি বা পেট ব্যাথা, ডায়রিয়া, টক ঢেঁকুর ওঠা, মাথাব্যাথা, দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা, ঝিমুনি, মাংসপেশীর খিঁচুনী, বুক ধড়ফড় করা, অনবরত বমি করা, হাইপোটেনশন, হাইপোক্যালেমিয়া, হাইপারগ্লাইসেমিয়া, মেটাবোলিক এসিডোসিস, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। মাংসপেশীতে ব্যবহারে মাত্রাতিরিক্তম প্রদাহ হতে পারে।
সরবরাহঃ
প্রতিটি ব্লিস্টার প্যাকে রয়েছে ১০০ টি এসআর ট্যাবলেট।
প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে ১০০ টি এসআর ক্যাপসুল।
৫০ মিলি ও ১০০ মিলি সিরাপ।