প্রথমত, রোগীর কাছ থেকে জিজ্ঞাসায়- ব্যাথা কিভাবে শুরু হলো, প্রথমে কোথায় শুরু হয়ে পরে কোথায় স্থির হলো, ব্যাথা কি একভাবে হয় নাকি থেমে থেমে যায়-আসে, কতক্ষন থাকে, ব্যাথা কিসে বৃদ্ধি পায় এবং কিসে কমে যায়, সাথে অন্য কোনো লক্ষন যেমন, বমি, জ্বর, মলত্যাগের সমস্যা ইত্যাদি আছে কিনা।
দ্বিতীয়ত, রোগীকে পরীক্ষা করা-রোগীর পেট পরীক্ষা করে দেখা, ব্যাথা কোন স্থানে, পেট ফুলে গেছে কিনা, পেটে কোথাও শক্ত হয়েছে কিনা, চাপ দিয়ে ছেড়ে দিলে ব্যাথা বাড়ে কি না।
তৃতীয়ত, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাঃ
রক্ত পরীক্ষাঃ রক্তে শ্বেত কণিকা বৃদ্ধি পেলে ইনফেকশন বা জীবাণু সংক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা।
রক্তের ইউরিয়া বা ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষায় জানা যায় শরীরে পানিশূন্যতা বা লবণ কমে/বেড়ে গেছে কিনা।
রক্তের এমাইলেজ- প্যানক্রিয়াটাইটিসে বৃদ্ধি পায়।
লিভার এনজাইম- লিভারে প্রদাহ বা পাথর হলে বৃদ্ধি পেতে পারে।
দাঁড়ানো অবস্থায় ‍বুকে ও পেটে এক্সরে- ডায়াফ্রামের নিচে গ্যাস পেলে পেটের ভেতরে ছিদ্র হওয়া, তরল মাত্রা পেলে নাড়িতে বাধা বা পেটের মধ্যে পুঁজ হওয়া এবং কিডনী বা প্রশ্রাবের রাস্তায় পাথর পাওয়া যেতে পারে।
পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করে পিত্তথলী বা নাড়ির পাথর, কিডনী বা প্রশ্রাবের নালীতে পাথর, প্যানক্রিয়াটাইটিসে প্রদাহ, পেটে পানি জমা/পুঁজ জমা, ওভারির সিস্ট ফেটে যাওয়া বা পেটে কোনো টিউমার পাওয়া যেতে পারে।
বিশেষ পরীক্ষা যেমন, পেটের সিটিস্ক্যান করে প্যানক্রিয়াটাইটিস, পেটের কোনো চাকা/টিউমার/পুঁজ জমা এবং এওর্টা ফেটে গেছে কিনা জানা যায়।
ওপরের সব পরীক্ষায় কোনো রোগ ধরা না পড়লে এবং পেটে ব্যাথার উন্নতি না হলে রোগ নির্ণয় করার জন্য ল্যাপারোস্কপি বা ল্যাপারোটমী করা যেতে পারে।