রং ফর্সাকারী ক্রিমে হাইড্রোকুইনোন রাসায়নিক থাকায় ত্বকের ক্যান্সার, যকৃত এবং কিডনির মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। এর মধ্যে থাকা পারদ থেকেও একই ধরণের প্রাণঘাতী স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ সতর্ককতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। খবর বিবিসি বাংলা।

হাইড্রোকুইনোন এমন এক রাসায়নিক জৈবিক যা রং পরিবর্তনের এক ধরনের উপাদান বা ‘পেইন্ট স্ট্রিপার’। ফলে এ রাসায়নিকের উপস্থিতি মানুষের ত্বকের ক্ষতি করে।

স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তায় বলা হচ্ছে, রং ফর্সাকারী ক্রিমে থাকা এসব উপাদান ত্বকের উপরিভাগের একটি স্তরকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

সম্প্রতি দেশটিতে বাণিজ্যমান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের হাতে এ ধরনের কিছু পণ্য জব্দ হওয়ার পর এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, অনেক পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান হাইড্রোকুইনোন থাকে। এছাড়া অনেক ক্রিমে মার্কারি বা পারদ থাকার কথাও জানা গেছে।

সংস্থাটি বলছে, কিছু খুচরা ব্যবসায়ী, অনলাইন, বাজারের কিছু দোকানীসহ এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা এ ধরনের পণ্য বিক্রি করছে।

তারা সবসময় পণ্যের সঠিক মাত্রা উল্লেখ করে না, যার কারণে ভোক্তারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন।

চিকিৎসকের অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাজ্যে হাইড্রোকুইনোন, স্টেরিয়ড বা পারদ রয়েছে এমন ক্রিম তাদের মারাত্মক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে দেশটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।

সংস্থাটির নিরাপদ ও শক্তিশালী কমিউনিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিমন ব্ল্যাকবার্ন বলেন, নিষিদ্ধ পণ্যসমৃদ্ধ ত্বকের ক্রিম খুবই বিপজ্জনক এবং এগুলো স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, সারা জীবনের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে, তাই এগুলোকে যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত।

ব্রিটিশ স্কিন ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র লিসা বিকারস্টাফে বলেন, বছরের পর বছর ধরে অবৈধ রং ফর্সাকারী ক্রিমের ইস্যুটি চলেই আসছে। কাউন্টার কিংবা অনলাইনে অবৈধ উপায়ে এসব ক্রিম বিক্রির কারণেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া বেশ কঠিন।