করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ট্যাবলেটের পরীক্ষামুলক প্রয়োগে বড় ধরণের সফলতা পেয়েছেন গবেষকরা। মোলন্যুপিরাভির নামক এই ট্যাবলেট তৈরী করেছেন মার্কিন প্রতিষ্ঠান মার্ক। মানবদেহে প্রয়োগের পর গবেষকরা বলছেন, এই ট্যাবলেট মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম। এমনকি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধ করতেও সক্ষম মোলন্যুপিরাভির। উদ্যোক্তারা বলছেন মার্কিন সংস্থা এফডিএর’র অনুমোদন পেলেই বাজারে ছাড়া হবে এই ট্যাবলেট। করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরীর পর থেকেই প্রক্রিয়া চলছিলো ট্যাবলেট তৈরীর। টিকার পাশাপাশি কিভাবে মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটের মাধ্যমে ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়ে গবেষনা শুরু করে বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক।

অবশেষে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সুসংবাদ এলো। মধ্যবর্তী ট্রায়ালের অংশ  হিসেবে করোনা আক্রান্ত রোগীকে দিনে ২টি করে মোলন্যুপিরাবির ট্যাবলেট দেয়া হয়। ৭৭৫ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয় ঔষধ। গবেষকরা বলছেন, সফলতার হার প্রায় ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ মোলন্যুপিরাবির প্রয়োগ করে মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, “টিকার বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত জরুরী। তাই এ ট্যাবলেট আমাদের কাছে আশার আলো। আমরা এই মধ্যে ট্যাবলেটটির ১৭ লাখ ডোজ নেয়ার পরিকল্পনা করেছি। এফডিএ  ছাড় দিলেই শুরু হবে কেনার প্রক্রিয়া। ”

কার্যপদ্ধতিঃ এই পিল মুলত: টার্গেট করে ভাইরাস এনজাইমকে। এই এনজাইম ব্যবহার করেই ভাইরাস তার ভ্যারিয়েন্ট পরিবর্তন করে। ফলে ভাইরাসের নতুন ধরণের বিরুদ্ধেও কাজ করবে এটি।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, “ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথা। নতুন এই ট্যাবলেট ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টকেও প্রতিহত করবে এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আর এর সফতার হারও প্রায় ৫০ শতাংশ। ফলে আমরা আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই ট্যাবলেট বাজারে আসবে। “

সাফল্য পাওয়ার পর ঔষধের ৩য় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সমাপ্তি ঘোষনা করেছে মার্ক। ঔষধটির অনুমোদনের বিষয়টিও কাজ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা- এফডিএ অনুমোদন দিলেই মোলন্যুপিরাবির এর বাজারজাতকরণ শুরু হবে।

 

তথ্যসুত্রঃ যমুনা টিভি।