উপস্থাপন:
মিপটল ২০০: প্রতিটি ট্যাবলেটে রয়েছে মিসোপ্রোস্টল ২০০ মাইক্রোগ্রাম মিসোপ্রোস্টল ডিসপার্শন ইউএসপি হিসেবে।
মিপটল ৬০০: প্রতিটি ট্যাবলেটে রয়েছে মিসোপ্রোস্টল ৬০০ মাইক্রোগ্রাম মিসোপ্রোস্টল ডিসপার্শন ইউএসপি হিসেবে।

বিবরণঃ
মিপটল একটি সংশ্লেষিত প্রোস্টাগ্ল্যানডিন ই-১ এনালগ যাহার গ্যাষ্ট্রিক এন্টিসিক্রেটরী, মিউকোসাল প্রোটেকটিভ এবং ইউটেরাইন সংকোচনকারী বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে। গ্যাষ্ট্রিক প্যারাইটাল কোষ এবং ইউটেরাসের বহির্ভাগে অবস্থিত এক শ্রেণীর অতি আসক্তি সম্পন্ন ই-ধরণের প্রোস্টাগ্ল্যানডিন রিসেপ্টরের মাধ্যমে মিসোপ্রোস্টল যথাক্রমে এন্টিসিক্রেটরী এবং ইউটেরাইন সংকোচনকারী কার্যকারীতা দেখায়। গ্যাষ্ট্রিক মিউকাস নি:সরণ, ডিওডেনাল বাইকার্বোনেট নি:সরণ এবং গ্যাষ্ট্রিক মিউকোসার রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে মিসোপ্রোস্টল মিউকাস রক্ষাকারী হিসাবে কাজ করে।

নির্দেশনা ও ব্যবহারঃ
মিপটল নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে নির্দেশিত:

  1. এনএসএআইডি সেবনকারী, যাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে যেমন: বয়োবৃদ্ধ, শারীরিকভাবে দুর্বল রোগী এবং যেসব রোগীর আলসার হওয়ার ইতিহাস রয়েছে,তাদের গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার প্রতিরোধে।
  2. এনএসএআইডি জনিত পাকস্থলি ও ডিওডেনামের ক্ষয়ের নিরাময়ে।
  3. এনএসএআইডি থেরাপীর অনুপস্থিতিতে ও যে গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার হয়, তার নিরাময়ে।
  4. প্রসবের সূচনাকল্পে।
  5. পোস্টপার্টাম হেমোরেজ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়।

সেবনমাত্রা ও সেবনবিধিঃ
মৃদু গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার এবং এনএসএআইডি জনিত আলসারের ক্ষেত্রেঃ দৈনিক ৮০০ মাইক্রোগ্রাম (২-৪টি বিভক্ত মাত্রায়), সকালের নাস্তা অথবা প্রধাণ খাবারের পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে। চিকিৎসা কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ চালিয়ে যাওয়া উচিত এবং প্রয়োজনবোধে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চালানো যেতে পারে।
এনএসএআইডি জনিত গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার প্রতিরোধেঃ এনএসএআইডি এর সাথে ২০০ মাইক্রোগ্রাম দৈনিক ২-৪ বার। যদি এই মাত্রা সহনীয় না হয়, তবে ১০০ মাইক্রোগ্রামের মাত্রা ব্যবহার করা যেতে পারে। এনএসএআইডি থেরাপীর পুরো সময় জুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেসোপ্রোস্টল সেবন করা উচিত।
প্রসবের সূচনাকল্পেঃ ২৫ মাইক্রোগ্রাম ভেজাইনা এর পোস্টেরিওর ফরনিক্স এ স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজন মতে এই মাত্রা ৬ ঘন্টা পর পর পুনরাবৃত্তি করা যাবে যতক্ষন না সর্বমোট সর্বোচ্চ ২০০ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছায়। ফিটাল হার্টরেট এবং জরায়ুর সংকোচন অবশ্যই পর্যবেক্ষন করতে হবে। অথবা, ১০০ মাইক্রোগ্রাম মুখে সেব্য। যদি সারভাইকাল রাইপেনিং বা সক্রিয় প্রসব শুরু না হয়, তবে মুখে সেব্য মিসোপ্রোস্টল ১০০-২০০ মাইক্রোগ্রাম ৪ ঘন্টা পর পর সেবন করতে হবে যতক্ষন না প্রসবের সূচনা হয় ( যা বিশপ স্কোর ৭ বা এর বেশি দ্বারা প্রমাণিত। ) সর্বোচ্চ ৬টি মাত্রা দেয়া যায়। মায়ের ভাইটাল সাইনসমূহ, ভ্রুণের হার্ট রেট এবং সংকোচন পর্যবেক্ষন করা উচিত। মিসোপ্রোস্টলের শেষ মাত্রার ৪ ঘন্টা পরে অক্সিটোসিন শুরু করা যেতে পারে। ফিটাল ডিসট্রেস এবং টিটানিক ইউটেরাইন সংকোচনের লক্ষনসমূহ সম্পর্কে চিকিৎসককে অবহিত করা উচিত। চিকিৎসক দ্বারা মুখে সেব্য মিসোপ্রোস্টল পর্যবেক্ষন করানো উচিত।
পোস্ট-পার্টাম হিমোরেজ প্রতিরোধেঃবাচ্চা প্রসবের পর পর তাৎক্ষনিক ৬০০ মাইক্রোগ্রাম মুখে সেব্য।
পোস্ট পার্টাম হিমোরেজ চিকিৎসায়ঃ ৬০০ মাইক্রোগ্রাম মুখে সেব্য অথবা ১০০০ মাইক্রোগ্রাম পায়ু পথে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ সাধারণত মিসোপ্রোস্টল সুসহনীয়। মিসোপ্রোস্টল থেরাপীতে প্রায়ই ঘটে এমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহ হল পরিপাকতন্ত্র জনিত যেমন-ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা, বদহজম, পেট ফাঁপা, বমি ভাব, বমি, র্যাশ এবং মাথা ঝিম ঝিম করা। খাবারের পর এবং ঘুমানোরআগে ঔষুধ সেবনের মাধ্যমে এবং ম্যাগনেশিয়ােম যুক্ত বা অন্যান্য ল্যাক্সাটিভ এন্টাসিডের সাথে একত্রে সেবন এড়িয়ে চলার মাধ্যমে ডায়রিয়ার হার কমানো যেতে পারে।
প্রতিনির্দেশনাঃপ্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের প্রতি অ্যালার্জির ইতিহাস আছে, এমন রোগীদের জন্য প্রোস্টাগ্লান্ডিন প্রতিনির্দেশিত এবং গর্ভাবস্থায়ও ইহা প্রতিনির্দেশিত।
সাবধানতাঃএনএসএআইডি জনিত গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসারের প্রতিরোধে এবং চিকিৎসাঃ গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে মিসোপ্রোস্টল প্রতিনির্দেশিত এবং শিশু জন্মদানে সক্ষম মহিলাদের ক্ষেত্রে মিসোপ্রোস্টল ব্যবহার করা উচিত নয় যদিনা রোগীর এনএসএআইডির প্রয়োজন পড়ে। শিশু জন্মদানে সক্ষম মহিলাদের বলতে হবে যে মিসোপ্রোস্টল সেবনকালে তারা যেন অবশ্যই গর্ভধারণ না করেন এবং অবশ্যই একটি কার্যকরী জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গ্রহন করতে হবে।
প্রসবের সূচনাকল্পেঃ সঠিক তারিখ নির্ধারণের মাধ্যমে গর্ভাবস্থার ৩৮ সপ্তাহ পূর্ণকরণ অথবা এল/এস> ২.০ বা ধনাত্মক ফসফোটিডিল গ্লিসারল পরীক্ষা দ্বারা ফুসফুসের পরিপূর্ণতা প্রাপ্তি অথবা ৩৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পর মাতৃত্ব বা ভ্রুণজনিত কারণে প্রসবের সূচনাকল্পের নির্দেশনা থাকতে হবে। একিউট ফিটাল ডিসট্রেস,এ্যাবরাপশিও প্লাসেন্টা. প্লাসেন্টা প্রেবিয়া অথবা ব্যাখ্যাতিত ভ্যাজাইনাল রক্তস্রাব হলে প্রসবের সূচনাকরণ প্রতিনির্দেশিত। ভ্রুণ ভারটেক্স প্রেজেন্টেশনে থাকতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহারঃ
গর্ভাবস্থায়ঃ গর্ভাবস্থায় মিপটল ব্যবহারযোগ্য নয়।

স্তন্যদানকালেঃ মিপটল এর একটিভ বিপাকীয় যৌগ মিসোপ্রোস্টল এসিড মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা, তা জানা যায়নি। মিপটল দুগ্ধদানকারী মায়েদের সেবন করা উচিত নয়, কেননা মিপটল এসিডের নিঃসরণ দুগ্ধপানকারী বাচ্চার ডায়রিয়া ঘটাতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে মিপটল এর উপাদান মিসোপ্রোস্টলের কার্যকারীতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

ড্রাগ ইন্টার্যাকশন: মিপটল এর সাথে কার্ডিয়াক,পালমোনারী, সিএনএস-এর ঔষধ ও এনএসএআইডি এর ক্লিনিক্যালি তাৎপর্যপূর্ণ ইন্টার্যাকশনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। উচ্চমাত্রার এন্টাসিডের সাথে সেবন করলে মিসোপ্রোস্টলের বায়োএ্যভেইল্যাবিলিটি কমে যায়।
মাত্রাধিক্যঃ মানবদেহে মিসোপ্রোস্টলের টক্সিক মাত্রা নির্ণিত হয়নি। মাত্রাধিক্যের ক্লিনিক্যাল লক্ষণসমূহ হচ্ছে ঘুম আসা, কাঁপুনী, খিঁচুনী, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যাথা,ডায়রিয়া এবং জ্বর। সার্পোর্টিভ ব্যবস্থা দ্বারা লক্ষনসমূহের চিকিৎসা করা উচিত।
সংরক্ষনঃ ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন। আলো এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
বাজারজাতকরণঃ
মিপটল ২০০: প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ১০টি ট্যাবলেটের ৩টি অ্যালু অ্যালু ব্লিস্টার স্ট্রিপ।
মিপটল ৬০০: প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ১টি ট্যাবলেটের ১০টি অ্যালু অ্যালু ব্লিস্টার স্ট্রিপ।