উপাদানঃ
প্রোটোসিড ২০ মিগ্রা: প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে প্যান্টোপ্রাজল বিপি ২০ মিগ্রা.।
প্রোটোসিড ৪০ মিগ্রা: প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে প্যান্টোপ্রাজল বিপি ৪০ মিগ্রা.।
প্রোটোসিড আইভি: প্রতিটি ভায়ালে আছে স্টেরাইল প্যান্টোপ্রাজল সোডিয়াম আইএনএন পাউডার যা ৪০ মিগ্রা প্যান্টোপ্রাজল এর সমতুল্য।
বর্ণনাঃ
প্রোটোসিড একটি প্রতিস্থাপিত বেনজিমিডাজোল জাতীয় ঔষধ যা গ্যাষ্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। প্রোটোসিড গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের “প্রোটন-পাম্প” হিসেবে পরিচিত হাইড্রোজেন-পটাশিয়াম-এডিনোসিন ট্রাইফসফেটেজ এনজাইম সিস্টেমকে বাধা দিয়ে গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।
নির্দেশনাঃ
বিনাইন গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসার, বুক জ্বালা, নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ঔষধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট জটিলতা, হ্যালিকোব্যাকটার পাইলোরি সংশ্লিষ্ট পেপটিক আলসার, গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স রোগ, অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের লক্ষনসমুহের প্রতিরোধে চিকিৎসা, এসিড জনিত বদহজম এবং অন্যান্য অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণ জনিত জটিলতায়।
সেবনবিধিঃ
প্রোটোসিড খাবারের পুর্বে সেবন করতে হবে।
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২০ মিগ্রা দিনে ১ বার ১৪ দিন বা ৪ সপ্তাহ।
অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
পার্শ্ব-প্রকিক্রিয়াঃ
প্রোটোসিড সুসহনীয়। কিন্ত খুব কম ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যাথা, মাথা ঝিম ঝিম করা, মাথা ব্যাথা, ত্বকে লালচে ভাব দেখা দিতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা:
ঔষধটির যেকোনো উপাদানের প্রতি সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত।
সতর্কতাঃ
প্রোটোসিড দ্বারা আলসারের লক্ষনসমুহ দুরীভুত হলেও ম্যালিগনেন্সির অনুপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবেনা। যখন গ্যাস্ট্রিক আলসার ধারণা করা হয় তখন প্রোটোসিড দ্বারা চিকিৎসা শুরু করার পুর্বে ম্যালিগনেন্সি আছে কিনা পরীক্ষা করা উচিত।
শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারঃ
নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে প্রোটোসিড এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বয়োবৃদ্ধঃ বয়োবৃদ্ধদের ক্ষেত্রে সেবনমাত্রা পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই।
সতর্কতাঃ
গর্ভাবস্থায় ব্যবহারঃ প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি-বি, গর্ভাবস্থায় প্রয়োজনীয়তা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলেই শুধুমাত্র ব্যবহার করা উচিত।
স্তন্যদানকালে ব্যবহারঃ
প্রোটোসিড ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিশুর ওপর নিরাপত্তাজনিত পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তবে সম্ভাব্য বিপদের ঝুঁকি ও প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্যান্য ঔষধের সাথে ক্রিয়াঃ
প্রোটোসিড ব্যবহারের সময় ডায়াজিপাম, ফিনাইটয়িন এবং ওয়ারফারিন এর নিঃসরণ বিলম্বিত হয়। যখন ওমিপ্রাজল চিকিৎসায় যুক্ত হয় তখন ওয়ারফারিন এবং ফেনাইটয়িন এর মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হয়। থিওপাইলিন, প্রোপ্রানলল অথবা এন্টাসিড এর সাথে প্যান্টোপ্রাজল এর ইন্টারেকশনের কোনো প্রমান নেই।
মাত্রাধিক্যঃ
প্রোটোসিড ৬০ মিগ্রা. পর্যন্ত মুখে সেবনে ৬০০ মিগ্রা পর্যন্ত কোনো মারাতœক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনা। ওভারডোজের ক্ষেত্রে ওভারডোজ জনিত বিষক্রিয়ার সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি প্রযোজ্য।
সরবরাহঃ
প্রোটোসিড ২০ মিগ্রা. ট্যাবলেটঃ প্রতি বক্সে ৩০/৫০ টি ট্যাবলেট এ্যালু-এ্যালু ব্লিস্টার স্ট্রিপে সরবরাহ করা হয়।
প্রোটোসিড ৪০ মিগ্রা. ট্যাবলেটঃ প্রতি বক্সে ৪০/৫০ টি ট্যাবলেট এ্যালু-এ্যালু ব্লিস্টার স্ট্রিপে সরবরাহ করা হয়।
প্রোটোসিড আইভিঃ প্রতিটি প্যাকেটে আছে ৪০ মিগ্রা. প্যান্টোপ্রাজল এর একটি ভায়াল ও ১০ মিগ্রা. ওয়াটার ফর ইনজেকশন এর একটি এ্যাম্পুল এবং একটি ১০ মিগ্রা. জীবাণুমুক্ত একবার ব্যাবহার্য সিরিঞ্জ।