উপস্থাপনঃ
নিনটোইন ট্যাবলেট: প্রতিটি ট্যাবলেটে রয়েছে নাইট্রোফিউরানটোইন ইউএসপি 100 মি.গ্রা.।
নিনটোইন ৫০ ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে রয়েছে নাইট্রোফিউরানটোইন ইউএসপি 50 মি.গ্রা.।
নিনটোইন এসআর ক্যাপসুল: প্রতিটি ক্যাপসুলে রয়েছে নাইট্রোফিউরানটোইন ইউএসপি 100 মি.গ্রা.।
নিনটোইন সাসপেনশন: প্রতি ৫ মিলি সাসপেনশনে রয়েছে নাইট্রোফিউরানটোইন ইউএসপি 25 মি.গ্রা.।
নির্দেশনা ও ব্যবহারঃ
নাইট্রোফিউরানটোইন এসচেরিসিয়া কোলাই, এন্টারোকক্কাই, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস স্যাফ্রোফাইটিকাস এবং কিছু ক্লেবসিয়েলা ও এন্টারোব্যাকটার এর সংবেদনশীল প্রজাতি দ্বারা সংক্রমিত শুধুমাত্র মুত্রনালীর সংক্রমনের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে নির্দেশিত।
সেবনমাত্রা ও ব্যবহারবিধিঃ
নাইট্রোফিউরানটোইন ট্যাবলেটঃ নাইট্রোফিউরানটোইন ট্যাবলেট খাবারের সাথে গ্রহন করতে হবে।
বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রেঃ 50-100 মিগ্রা প্রতিদিন ৪ বার। মুত্রনালীর অজটিল সংক্রমণে নিম্নতর মাত্রা নির্দেশিত।
মুত্র জীবাণুমুক্ত হওয়ার পর 7 দিন পর্যন্ত অথবা কমপক্ষে ৩ দিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
বয়স্কদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায়ঃ এক্ষেত্রে মাত্রা কমিয়ে শোয়ার সময় 50-100 মিগ্রা. মাত্রাই পর্যাপ্ত।

নাইট্রোফিউরানটোইন ক্যাপসুলঃ নাইট্রোফিউরানটোইন ক্যাপসুল খাবারের সাথে গ্রহন করতে হবে।
বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রেঃ 50 মিগ্রা প্রতিদিন ৪ বার। মুত্রনালীর অজটিল সংক্রমণে নিম্নতর মাত্রা নির্দেশিত।
মুত্র জীবাণুমুক্ত হওয়ার পর 7 দিন পর্যন্ত অথবা কমপক্ষে ৩ দিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী প্রশমনঃ 50-100 মিগ্রা. দিনে একবার।
প্রোফাইল্যাক্সিসঃ 50 মিগ্রা. করে দিনে ৪ বার এই সময়কালে এবং এর পরবর্তী ৩ দিনের জন্য।

নাইট্রোফিউরানটোইন এসআর ক্যাপসুলঃ নাইট্রোফিউরানটোইন ক্যাপসুল খাবারের সাথে গ্রহন করতে হবে।
বয়স্ক এবং ১২ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের ক্ষেত্রেঃ প্রতি ১২ ঘন্টায় ১টি করে ১০০ মিগ্রা, ক্যাপসুল ৭ দিনের জন্য।
মুত্র জনননালীর সার্জিক্যাল প্রোফাইল্যাক্সিসঃ ১টি করে ক্যাপসুল দিনে ২ বার শুরুর দিন থেকে পরবর্তী ৩ দিনের জন্য।

নাইট্রোফিউরানটোইন সাসপেনশনঃ
শিশুদের ক্ষেত্রে: প্রতিদিন ৫-৭ মিগ্রা./কেজি ৪টি বিভক্ত মাত্রায়। (নাইট্রোফিউরানটোইন ১ মাস বয়সের বাচ্চাদের জন্য প্রতিনির্দেশিত।)

মুত্র জীবাণুমুক্ত হওয়ার পর ৭ দিন পর্যন্ত অথবা কমপক্ষে ৩ দিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
শিশুদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১ মি.গ্রা./কেজি একক মাত্রায় অথবা ২ টি বিভক্ত মাত্রাই যথেষ্ট।

প্রতিনির্দেশনাঃ
এ্যানুরিয়া, অলিগুরিয়া অথবা বৃক্কের মারাত্মক অসমকার্যকারিতায় এটি প্রতিনির্দেশিত। এই ঔষধটি ৩২-৪৮ সপ্তাহের গর্ভবতী রোগীদের ক্ষেত্রে, প্রসবপূর্ব ও প্রসবকালীন সময়ে প্রতিনির্দেশিত। যেসব রোগী নাইট্রোফিউরানটোইন এর প্রতি অতিসংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।

সতর্কতাঃ
যদি তীব্র, অল্প তীব্র অথবা দীর্ঘমেয়াদী পালমোনারী রিয়্যাকশন দেখা দেয় তবে, নাইট্রোফিউরানটোইন দেয়া বন্ধ করতে হবে। নাইট্রোফিউরানটোইন এর সাথে ম্যাগনেশিয়াম ট্রাইসিলিকেট এর কোন এন্টাসিড খাওয়া যাবেনা।

পার্শ প্রতিক্রিয়াঃ
যেসব পার্শ প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো- বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা এবং পেট ফাঁপা। অন্যান্য যেসব পার্শ প্রতিক্রিয়া কম দেখা যায় তা হলো ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, বমি, কানে ভোঁ ভোঁ করা, ঝিমুনি।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহারঃ
প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি-বি। গর্ভবতী মায়েদের উপর কোনো পর্যাপ্ত ও সুনিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা হয়নি। এই ঔষধটি গর্ভাবস্থায় তখনই দেয়া যাবে যখন এটি সুস্পষ্টভাবে নির্দেশিত।
নাইট্রোফিউরানটোইন অল্প পরিমানে মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। যেহেতু ১ মাসের নিচে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মারাত্মক পার্শপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেহেতু এই ঔষধ দেয়ার পূর্বে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে হয় দুগ্ধদান থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকবে হবে।

ড্রাগ ইন্ট্যার‌্যাকশনঃ
নাইট্রোফিউরানটোইন এর সাথে ম্যাগনেশিয়াম ট্রাইসিলিকেট এর কোন এন্টাসিড একসাথে খেলে এটি নাইট্রোফিউরানটোইনের পরিশোষনমাত্রা ও পরিমান কমিয়ে দেয়। ইউরিকোসুরিক ঔষধ যেমন, প্রবিনিসিড, সালফিনপাইরাজোন বৃক্কের নালিকায় নাইট্রোফিউরানটোইন এর নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়।

মাত্রাধিক্যতাঃ
নাইট্রোফিউরানটোইন এর তীব্র মাত্রাধিক্যতায় বমি ছাড়া আর কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষন প্রকাশ পায় না। এক্ষেত্রে বমি করাতে হবে।

বানিজ্যিক মোড়কঃ
নিনটোইন ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে রয়েছে 10 টি ট্যাবলেটের ৩টি ব্লিস্টার স্ট্রিপ।
নিনটোইন ৫০ ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে রয়েছে 10 টি ক্যাপসুলের ৩টি ব্লিস্টার স্ট্রিপ।
নিনটোইন এসআর ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে রয়েছে 10 টি ট্যাবলেটের ২টি ব্লিস্টার স্ট্রিপ।
নিনটোইন সাসপেনশন: প্রতিটি বোতলে রয়েছে 100 মিলি সাসপেনশন।