ডিসলেক্সিয়া হলো এক ধরণের লার্ণিং ডিফিকাল্টি বা ডিসঅর্ডার। সাধারণত স্কুলগামী ছেলেমেয়েরা এতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর কোনো বিষয় বা সংখ্যা আয়ত্ত করতে অসুবিধা হয়। এ এক স্থায়ী অক্ষমতা, যার কারণে স্কুলে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয়। ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডিসলেক্সিক বলা হয়। ডিসলেক্সিক বাচ্চাদের কেউ শব্দের বানান পারে না। কেউ অক্ষর চেনে না। অক্ষর বা সংখ্যায় তালগোল পাকিয়ে ফেলে। কারো বা ডান-বামে সমস্যা আবার কেউ সংখ্যা বা অক্ষর উল্টো করে লেখে। এই ধরণের বাচ্চাদের এ জাতীয় একাধিক বা সব কয়টি লক্ষনই থাকতে পারে। ডিসলেক্সিয়ার কারণ আজও জানা যায়নি। তবে পারিবারিক ইতিহাসকে লার্ণিং ডিসঅর্ডারে বেশ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জরিপে দেখা যায়, মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা প্রায় ৩ গুণ বেশি ডিসলেক্সিয়ায় ভুগে থাকে। ডিসলেক্সিয়ার কোনো চিকিৎসা হয় না। তবে রেমোডিয়াল টিচিং নামে এক পদ্ধতি আছে, যাতে এ ধরণের বাচ্চাদের নিজেদের সমস্যাগুলোকে বুঝতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে পারিবারিকভাবে বাচ্চাকে মানসিকভাবে উৎসাহ দিয়ে যেতে হবে।