মুজাহিদুল ইসলাম, ঔষধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শকঃ
উপাদানঃ
ট্রিপটোমার ১০ ট্যাবলেটঃ প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে এ্যামিট্রিপটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি ১০ মিগ্রা.
ট্রিপটোমার ২৫ ট্যাবলেটঃ প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে এ্যামিট্রিপটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি ২৫ মিগ্রা.

ফার্মাকোলোজিঃ
ট্রিপটিনঃ এটি একটি ট্রাইসাইক্লিক বিষন্নতাবিরোধী ঔষধ যার এন্টিকোলিনারজিক এবং সিডেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ইহা স্নায়ুপ্রান্তে নরএড্রিনালিন এবং সেরোটনিন পুনঃগ্রহণে বাধা দেয়। এ্যামিট্রিপটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড পরিপাকনালীতে দ্রুত শোষিত হয়। প্রায় ২ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে প্লাজমাতে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। এ্যামিট্রিপটাইলিন প্রধাণত মেটাবোলাইট হিসেবে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নিঃসৃত হয়।

নির্দেশনাঃ
ট্রিপটোমার মানসিক বিষন্নতা , নিউরোপ্যাথিক ব্যাথা, পেট ব্যাথা, মাইগ্রেনজনিত ব্যাথা প্রতিরোধে এবং মূত্রের বেগ ধারণে অক্ষমতা, বিশেষত শিশুদের রাত্রীকালীন শয্যায় মূত্রত্যাগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

সেবনবিধি ও সেবনমাত্রাঃ
বিষন্নতাজনিত অসুস্থতাঃ
প্রাপ্তবয়স্কঃ প্রাথমিকভাবে ৫০ মিগ্রা. প্রতিদিন বিভক্ত মাত্রায় যা প্রয়োজন অনুসারে ক্রমান্বয়ে ২৫ মিগ্রা. করে সর্বোচ্চ ১৫০ মিগ্রা. পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। পূর্ণবয়স্ক ১০-২৫ মিগ্রা.।
নিউরোপ্যাথিক ব্যাথা, মাইগ্রেনজনিত ব্যাথা প্রতিরোধেঃ প্রাথমিকভাবে ১০-২৫ মিগ্রা.
রাত্রিকালীন শয্যায় মূত্রত্যাগঃ
৬-১০ বৎসরঃ ১০-২০ মি.গ্রা. ঘুমানোর পূর্বে। ১১ বৎসর বা তার উর্ধ্বেঃ ২৫-৫০ মিগ্রা. ঘুমানোর পূর্বে।
পেট ব্যাথাঃ প্রাথমিকভাবে ৫-১০ মিগ্রা.

অনুপযোগিতা ও সাবধানতাঃ
মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, যেকোনো মাত্রার হার্ট ব্লক, ম্যানিয়া ও যকৃতের রোগে এ্যামিট্রিপটাইলিন অনুপযোগী। শুরুতে, সিডেশন যানবাহন এবং যন্ত্রপাতি চালানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। মৃগীরোগের ইতিহাস আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে, গ্লুকোমা, মূত্র প্রতিবন্ধকতা, কার্ডিয়াক অসুস্থতা, বহুমুত্র, গর্ভাবস্থায়, যকৃতের অস্বাভাবিকতা, থাইরয়েড সমস্যা, ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বৃদ্ধিজনিত সমস্যা এবং মানসিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

পার্শ প্রতিক্রিয়াঃ শুষ্ক মুখ, সিডেশন, অস্পষ্ট দৃষ্টি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, প্রশ্রাবের অসুবিধা।

অন্যান্য পার্শ প্রতিক্রিয়া হলো– এরিদমিয়া, ট্রাকিকার্ডিয়া, ঘাম বের হওয়া, কাঁপুনি, চুলকানি, অস্বাভাবিক আচরণ (বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে), বিভ্রান্তি (বিশেষত পুর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে), যৌনকার্যে প্রতিবন্ধকতা, ব্লাড সুগার এবং ওজনের পরিবর্তন।

গর্ভাবস্থায় ব্যবহারঃ
প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-সি।
এ্যামিট্রিপটাইলিন প্লাসেন্টা অতিক্রম করে। এ্যামিট্রিপটাইলিন গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র মায়ের সম্ভাব্য সুবিধাসমূহ এবং ফিটাসের সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহকে বিবেচনা করে।

স্তন্যদানকালে ব্যবহারঃ
এ্যামিট্রিপটাইলিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। এ্যামিট্রিপটাইলিনে স্তন্যপায়ী শিশুদের সম্ভাব্য শিশুদের সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ার কারণে স্তন্যদান থেকে অথবা ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। স্তন্যদানকারী মায়ের ঔষুধ সেবনের গুরুত্ব বিবেচনা করে।

সংরক্ষনঃ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে রাখুন। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষন করুন। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।