খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই অনেকেই ভেবে থাকেন, এটা হয়তো তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাও হতে পরে। এরপরও এটি অনেক পুষ্টি উপাদান সহকারেই প্যাকেটজাত করা হয়, যাতে তা দিয়ে খুব ভালোভাবে নাস্তার কাজ সেরে ফেলা যায়।

বিশ্বের সামান্য কিছু জায়গায় খেজুরের চাষ হয়। খেজুর শব্দটি গ্রিক শব্দ ডাকটুলস থেকে এসেছে; যার অর্থ আঙ্গুল।
চাষীরা সাধারণত শীতের শেষ অথবা শুরুর দিকে খেজুরের উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে। তাই বছরের এ সময়টাতে প্রাপ্ত খেজুর সবচেয়ে সুস্বাদু হয়। পাশাপাশি অনেক মানুষই শুকনো/প্রক্রিয়াজাত খেজুর খেয়ে থাকেন। যা অনেক কোম্পানিই প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করেন।

এই আর্টিকেলে আমরা জানব খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং কিভাবে এটি ব্যালেন্সড ডায়েট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি খেজুরে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল। এছাড়াও রয়েছে

  1. উচ্চ মাত্রার পলিফেনলঃ পলিফেনল এক ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে প্রদাহ হতে রক্ষা করে। অন্যান্য সকল সবজি ও ফলের তুলনায় এতে পলিফেনল বেশি থাকে
  2. ক্যালরী বিহীন মিষ্টির বিকল্প: খেজুর একজন মানুষের দৈনিক মিষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি ভিটামিন বি-৬ ও আয়রনের মত পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
  3. উচ্চ মাত্রার ফাইবারঃ প্রতিদিন ১/৪ কাপ খেজুর একজন মানুষের দৈনিক প্রয়োজনীয় ফাইবারের ১২ শতাংশ পূরণ করে। পাশাপাশি এটি মাংসপেশীকে লম্বা হতে সহায়তা করে।
  4. উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম: খেজুরে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রয়েছে। হার্টকে সুস্থ রাখতে যা অতীব প্রয়োজন। পাশাপাশি পটাশিয়াম শরীরের প্রোটিন স্কেল বৃদ্ধি ও মাসল ‍বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  5. সুগারের বিকল্প হিসেবে দুর্দান্ত: রিফােইন্ড সুগার খেতে না চাইলে খেজুর খেতে পারেন। প্রাকৃতিক চিনি হিসেবে এর যথেষ্ট উপকারিতা আছে।

খেজুরের পুষ্টিতথ্য (প্রতি 100 গ্রাম হিসেবে):

  1. ক্যালরিঃ ২০ গ্রাম।
  2. মোট ফ্যাটের পরিমাণ: ০.০৩ গ্রাম।
  3. মোট কার্বোহাইড্রেট: ৫.৩৩ গ্রাম।
  4. হজমযোগ্য ফাইবার: ০.৬ গ্রাম।
  5. চিনি: ৪.৫ গ্রাম।
  6. প্রোটিন: ০.১৭ গ্রাম।
  7. ভিটামিন বি-৬: ০.০১২ মিলি গ্রাম।
  8. আয়রন: ০.০৭ মিগ্রা.।
  9. ম্যাগনেশিয়াম: ৩ মিগ্রা.।
  10. পটাশিয়াম: ৪৭ মিগ্রা.।